পটলের মালাইকারি
মালাইকারি শুনলেই কেমন যেন চিংড়ির নামটা ঝপাস করে মনের মধ্যে এসে কড়া নাড়তে শুরু করে। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ গবেষণাগারতো সেই চিরপূরাতন হেঁসেল।
মালাইকারি শুনলেই কেমন যেন চিংড়ির নামটা ঝপাস করে মনের মধ্যে এসে কড়া নাড়তে শুরু করে। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ গবেষণাগারতো সেই চিরপূরাতন হেঁসেল। সেই হেঁসেলের হুঁশিয়ারি মালাইকারিকে কি কখনোই শুধু চিংড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে? কভি নেহি। অতএব আমিষি মোড়ককে দূরে সরিয়ে মালাইকারি এবার নিরামিষ বাসী। পটলের সঙ্গে জোট বেঁধে মালাইকারির নিরামিষ পুরাণের বারোমাস্যা এবার হাজির আমাদের রসনা তৃপ্তির জন্য।
কী কী লাগবে:
পটল – ৮/১০ টা
সামান্য হিং
ছোট এলাচ – ৩ টে
দারুচিনি – ২/৩ টুকরো
আদা, হলুদ, লঙ্কা বাটা – প্রতিটা ১/২ চা চামচ
নারকেল কুড়িয়ে বেটে নেবেন – ১ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ
নুন, মিষ্টি – আন্দাজ মতো
তেল – ২ টেবিল চামচ
দই – ৫০ গ্রাম
কীভাবে বানাবেন:
প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে আস্ত পটল গুলি রেখে দিতে হবে। খোসা ছাড়ানো পটলগুলির দু’পাশে সামান্য একটু চিড়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে হিং, গরম মশলা ফোড়ন দিতে হবে। এরপর এতে পটলগুলি দিয়ে লালচে করে ভাজতে হবে। পটল ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ঢিমে আঁচে এতে আদা, হলুদ, লঙ্কা বাটা দিয়ে পটলটা ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে। একটা বাটিতে দই নিয়ে তার মধ্যে অল্প হলুদ বাটা, অল্প লঙ্কা গুঁড়ো, একটু চিনি দিয়ে তাতে জল দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর এটিকে কড়াতে ঢেলে দিতে হবে। এরসঙ্গেই নারকেল দুধ দিয়ে ভালো করে কষতে হবে। তেল ছাড়তে শুরু করলে স্বাদ মত নুন দিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট রান্না করতে হবে। জলটা শুকিয়ে এলে নারকেল বাটা দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে এর যুগলবন্দী আসামান্য।