বিয়ে করতে চাইলে ‘প্রি ওয়েডিং কোর্স’ বাধ্যতামূলক, চাই সরকারি শংসাপত্রও!
যতক্ষণ না পরীক্ষায় পাশ করছেন আর সরকারি শংসাপত্র হাতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ বিয়ে করার অনুমতি দেবে না সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন: খুব কঠিন সময় আসতে চলেছে! এখন আর বিয়ে করতে চাইলেই বিয়ে করা যাবে না। না, ‘মিয়া-বিবি রাজি’ থাকলেও বাধ সাধতে পারে ‘কাজী’ থুরি সরকারি শংসাপত্র। কারণ, বিয়ে করতে চাইলে তিন মাসের ‘প্রি ওয়েডিং কোর্স’ করা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে দেশের সরকার। তিন মাসের কোর্সে পাশ করে সরকারি শংসাপত্র হাতে পেলে তবেই বিয়ের অনুমতি মিলবে। ২০২০ সাল থেকে এমনই নিময় চালু হতে চলেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
জানা গিয়েছে, তিন মাসের এই কোর্স একেবারে বিনামূল্যেই করা যাবে। এই কোর্সের সমস্ত খরচই বহন করবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। প্রথম বারে পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলেও চিন্তার কিছু নেই। পরীক্ষার্থী ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। যতক্ষণ না পরীক্ষায় পাশ করছেন ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন কোনও পরীক্ষার্থী। কিন্তু এক বারের পরিবর্তে দশ বার পরীক্ষা দিলেও যতক্ষণ না পরীক্ষায় পাশ করছেন আর সরকারি শংসাপত্র হাতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ বিয়ে করার অনুমতি দেবে না সরকার। সে দেশের ‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কোঅর্ডিনেটিং’ দফতরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাম বাড়লেও এই পদ্ধতিতে পুরনো ট্যারিফেই রিচার্জ করতে পারবেন Jio গ্রাহকরা
হঠাৎ কেন এমন কোর্সের ভাবনা? কেনই বা এই কোর্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে?
জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে সামনে এসেছে বিভিন্ন কারণে মনোমালিন্য, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাব, সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়। তাই বাড়তে থাকা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনায় রাশ টানতে এই কোর্স চালু করে তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।