জেনে নিন খাঁটি প্রবাল চেনার সহজ উপায়
যশ, খ্যাতি ও আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে প্রবালের জুড়ি নেই। লাল প্রবাল বাম হাতের যে কোনও আঙ্গুলে পরলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
যশ, খ্যাতি ও আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে প্রবালের জুড়ি নেই। অশুভ মঙ্গলকে বশে আনতে এই পাথর বিশেষ কার্যকর। পারস্পরিক শত্রু, ক্রোধ, হানাহানি ইত্যাদির রক্ষাকবচ হিসেবে প্রবালের বেশ প্রচলন আছে। মিথুন রাশির অশুভকে শুভর দিকে ধাবিত করতে প্রবাল বেশ কার্যকর। লাল প্রবাল বাম হাতের যে কোনও আঙ্গুলে পরলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। প্রবাল চার ধরনের হয়। সাধারণ লাল প্রবালের চেয়ে অক্স ব্লাড প্রবালের দাম আরও বেশি। তবে গৈরিক প্রবাল (মঙ্গল ও বৃহস্পতির জন্য)- এর দাম খুব কম। শ্বেত প্রবালের দাম আরও কম। মঙ্গল, শুক্র, চন্দ্রের জন্য এটি পরা হয়। আন্দামানের কাছে সমুদ্রে প্রচুর শ্বেত প্রবাল জন্মায়। এর রাসায়নিক নাম ক্যালসাইট। ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে এটির ক্ষয় হতে থাকে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক খাঁটি প্রবাল চেনার উপায়।
খাঁটি প্রবাল চেনার উপায়:
১) রক্তের মধ্যে লাল প্রবাল কিছু ক্ষণ রাখলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।
২) লাল প্রবাল কাঁচা গরুর দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রাখলে দুধ লাল বর্ণের হয়ে যায়।
৩) খানিকটা তুলোর মধ্যে একটি লাল প্রবাল নিয়ে সুর্যালোকে তিন-চার ঘণ্টা রেখে দিলে তুলোতে আগুন লেগে যায়।
লাল প্রবালের আয়ুর্বেদিক শোধনের পদ্ধতি:
চব্বিশ ঘণ্টা ক্ষার মিশ্রিত জলে রাখলে প্রবাল শোধিত হয়।
লাল প্রবালের প্রাপ্তিস্থান:
লাল প্রবাল সমুদ্রের নীচে মেলে। সমুদ্রের নীচে থেকে তুলে এনে মোটামুটি একটা আকৃতিতে কাটার পর শুকিয়ে, তারপর তা বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করা হয়। জাপান ও ইতালিতে সবচেয়ে উত্কৃষ্ট মানের লাল প্রবাল পাওয়া যায়। এর মধ্যেও জাপানে প্রাপ্ত লাল প্রবালের মান সর্বশ্রেষ্ঠ। জাপানে প্রাপ্ত লাল প্রবালের দামও খুব বেশি। এটি দুষ্প্রাপ্য। বেশির ভাগ দোকানে ইতালীয় প্রবাল পাওয়া যায়।
মঙ্গলের জন্য রক্ত প্রবাল ধারণ কর্তব্য। কালো আভাযুক্ত উজ্জ্বল স্বচ্ছ রত্ন পরতে হয় মঙ্গলবারে।