ভয়াবহ হচ্ছে কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতি, এখনও পর্যন্ত মৃত ১৭

কাশ্মীরে ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। জলের তোড়ে, ধস নেমে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।

Updated By: Mar 30, 2015, 05:32 PM IST
ভয়াবহ হচ্ছে কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতি, এখনও পর্যন্ত মৃত ১৭

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। জলের তোড়ে, ধস নেমে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।

সংবাদসংস্থা IANS অনুযায়ী লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে বাদগাম গ্রামে ধস নেমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দুটি বাড়ি। দুটি পরিবারের ১৬ জন সেই ধংসস্তুপে চাপা পড়েছেন।

এখনও পর্যন্ত ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে কোনও দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  

জম্মুতে দোবার কাছে জলের তোড়ে ভেসে গেছেন এক যুবক। ভেসে গেছে তার গোরুর গাড়িটিও।

বন্যার জলে ইতিমধ্যেই প্লাবিত জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের কাছে পামপোর শহর।  

দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শ্রীনগর ও সঙ্গমে  ঝিলামের জল বিপদসীমা লঙ্ঘন করেছে। রবিবারের পরে সোমবারও লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে সে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের নিজেদেরও সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন আজ সকাল ৬টার মধ্যে সঙ্গম (দক্ষিণ কাশ্মীর) ও রাম মুন্সী বাগে (শ্রীনগর) ঝিলামের জল যথাক্রমে ২২.৪ ফুট ও ১৮.৮ ফুট ছুঁয়েছে। এমনি সঙ্গমের বিপদ সীমা ২১ ফুট ও রাম মুন্সীতে ১৮ ফুট।

আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সরকারের পক্ষে থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জম্মু থেকে শ্রীনগর পৌছে গেছেন। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় সহ উপত্যকার অনান্য স্কুল কলেজের সোম ও মঙ্গলবারের পূর্বনির্ধারিত সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলার দুটি দল ইতিমধ্যেই শ্রীনগর পৌছে গেছে। এতে আছেন ১০০জন জওয়ান।

পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যের জন্য আগে থেকেই সেনাবাহিনীকে উদ্যোগী হতে বলেছেন।

পুলওয়ামা ও শ্রীনগর থেকে শত শত মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে শোপিয়ান ও কুলগাম অঞ্চলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ বিছিন্ন। বন্যার জলে ছেসে গেছে সংযোগকারী সেতু।

শনিবার থেকেই কাশ্মীরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। ঝিলামের জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহ হারে বাড়ছে শাখা নদী গুলির জলও।

ইতিমধ্যেই জলের তোড়ে ভেসে গেছে মধ্য কাশ্মীরের বহু বাড়ি। ২২১টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও ১৫টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে।  

গত বছর সেপ্টেম্বরের বন্যায় কাশ্মীর উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২০০ জন। খোদ রাজধানী শ্রীনগর ছেড়ে প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন বহু মানুষ।

আগামী ৪ তারিখের আগে এই বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টি সঙ্গেই কোনও জায়গায় বাড়তে পারে বরফপাতের সম্ভাবনা।

 

.