আজন্ম শুধু 'পার্লে জি' বিস্কুট খেয়ে বহাল তবিয়তে অষ্টাদশী
তাঁর অন্নপ্রাশন হয়েছিল। কিন্তু অন্নের গ্রাস কখনও তাঁর মুখ অবধি পৌঁছয়নি। মানে, জন্ম থেকে আজ ১৮ বছর বয়স অবধি তিনি ভাত খাননি। শুধু ভাত নয়, কোনও রকম খাবারই তিনি খাননি সেই ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে। শুধু খেয়েছেন 'পার্লে জি' বিস্কুট। না, না, এত অবধি পড়ে ভাববেন না যেন যে এটা 'পার্লে জি' বিস্কুটের বিজ্ঞাপন। এটা ঘোরতর বাস্তব। ঠিক এমনটাই হয়েছে কর্ণাটকের মেয়ে রামওয়ার।
ওয়েব ডেস্ক: তাঁর অন্নপ্রাশন হয়েছিল। কিন্তু অন্নের গ্রাস কখনও তাঁর মুখ অবধি পৌঁছয়নি। মানে, জন্ম থেকে আজ ১৮ বছর বয়স অবধি তিনি ভাত খাননি। শুধু ভাত নয়, কোনও রকম খাবারই তিনি খাননি সেই ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে। শুধু খেয়েছেন 'পার্লে জি' বিস্কুট। না, না, এত অবধি পড়ে ভাববেন না যেন যে এটা 'পার্লে জি' বিস্কুটের বিজ্ঞাপন। এটা ঘোরতর বাস্তব। ঠিক এমনটাই হয়েছে কর্ণাটকের মেয়ে রামওয়ার।
নিজের বাড়িতে রামওয়া।
জন্মের পর থেকে রামওয়া আজ অবধি কেবল 'পার্লে জি' বিস্কুটই খেয়েছেন। এখন তিনি অষ্টাদশী এবং 'পার্লে জি' খেয়েই বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছেন। আপনি নিশ্চই ভাবছেন একি কাণ্ড! তাহলে ছোট্ট করে শুনে নিন রামওয়ার গল্পটা- কর্ণাটকের গোকাক তালুকে তালাকাটানাল গ্রামের মেয়ে রামওয়া। বাবা- ইয়ালাপ্পা ও মা- ইয়েল্লয়া ছাড়াও রামওয়ার পরিবারে রয়েছে আরও দুই যমজ ভাই। রামওয়া দৈনিক ছয়-সাত প্যাকেট বিস্কুট খান, এছাড়া আর কিচ্ছু না। কিন্তু মেয়ের জন্য রোজ ওই ছয় সাত প্যাকেট বিস্কুটের যোগান দিতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে গরিব চাষী ইয়ালাপ্পার। রামওয়া জানিয়েছেন, "পার্লে জি-ই আমার একমাত্র খাবার। হঠাত্ এই বিস্কুট তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে কী খাব জানি না।"
আরও পড়ুন- চিনাদের ইংরেজি খারাপ হয় কেন, কারণগুলো অবাক করা
গত শনিবার থেকে রামওয়ার এই অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। শুরু করেছে স্থানীয় এক হাসপাতালের চিকিত্সকেরা। তাদের মধ্যেই একজন জানিয়েছেন, রামওয়ার দেহের গঠন দশ বারো বছরের মেয়েদের মতো হলেও তাঁর মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ বয়স অনুপাতে সম্পূর্ণ সঠিক। তাহলে কী বলবেন, জি মানে জিনিয়াস!