প্রবল খরায় মাটি খুঁড়ে জীবন তুলে আনলেন কেরলের মহিলারা

এ যেন সমুদ্র মন্থন করে অমৃত তুলে নিয়ে আসার মতো অথবা তার চেয়েও কঠিন। পুরানের সেই অমৃত ছিল অমরত্বের সঞ্জীবনী। আর বাস্তবে কেরলের প্রমীলা বাহিনী কার্যত জীবন তুলে নিয়ে এসেছেন পৃথিবীর গর্ভ থেকে। জীবন থাকলে তবে তো অমরত্ব, তাই বোধ হয় সমুদ্র মন্থনের চেয়েও মেহনত ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এগিয়ে একুশ শতকের কেরল। কিন্তু ঠিক কী করেছেন কেরলের নারী শক্তি?

Updated By: May 1, 2017, 01:26 PM IST
প্রবল খরায় মাটি খুঁড়ে জীবন তুলে আনলেন কেরলের মহিলারা

ওয়েব ডেস্ক: এ যেন সমুদ্র মন্থন করে অমৃত তুলে নিয়ে আসার মতো অথবা তার চেয়েও কঠিন। পুরানের সেই অমৃত ছিল অমরত্বের সঞ্জীবনী। আর বাস্তবে কেরলের প্রমীলা বাহিনী কার্যত জীবন তুলে নিয়ে এসেছেন পৃথিবীর গর্ভ থেকে। জীবন থাকলে তবে তো অমরত্ব, তাই বোধ হয় সমুদ্র মন্থনের চেয়েও মেহনত ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এগিয়ে একুশ শতকের কেরল। কিন্তু ঠিক কী করেছেন কেরলের নারী শক্তি?

বারংবার ধোঁকা দিয়েছে বৃষ্টি। তাই প্রবল খরায় শুকিয়ে খটখটে হয়ে গিয়েছিল কেরলের পালাক্কড জেলা। ফুটিফাটা মাঠ ঘাট, কোথাও এতটুকু জল থাকলেও তা নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই এগিয়ে আসেন কেরলের একদল মহিলা। অপটু হাতেই খুঁড়তে শুরু করেন কুয়ো। আর তারপর এক এক করে একশো আশি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে যখন কাজে হাত দেন, তখন কূপ খননের বিন্দু বিসর্গ জ্ঞানও ছিল না তাঁদের। কথায় বলে, প্রয়োজনই সৃষ্টি-সৃজনের জননী। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই। আজ, ১৮০টি কুয়ো খুঁড়ে খড়াক্রান্ত মানুষদের জীবনের পরশ দিয়েছেন ওই মহিলারা। স্বশিক্ষিত কূপ খননকারী হিসাবে আজ তাঁরা এবিষয়ে রীতিমতো 'বিশেষজ্ঞ'। স্বীকৃতি এসেছে সরকারের তরফেও, তাঁরা এখন পারিশ্রমিক পান MGNREGA প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু এসব নেহাতই সরকারি ও প্রশাসনিক বিষয়। সমাজকে যা মুগ্ধ করেছে তা হল জীবন বাঁচাতে 'জীননী'দের এই জীবনপণ লড়াই।

আরও পড়ুন-একমাত্র ভারতীয় পার্ক হিসাবে কলকাতার ইকো পার্কের 'ওয়ার্ল্ডক্লাস' স্বীকৃতি

.