চলতি বছরে ২০৫০ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, মৃত্যু হয়েছে ২১ জন ভারতীয়র
সীমান্তের ওপারে বাসিন্দাদের ঢাল করে, জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চলতি বছরে দু'হাজারেরও বেশি বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। নিশানা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ ভারতের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কালি ছেটাচ্ছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের আচরণে ক্ষোভ জানাল ভারত।
২০৫০। চলতি বছরে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২১ জন সাধারণ নাগরিকের। সাধারণ মানুষকে নিশানা করে গোলাগুলি ছোড়া হচ্ছে। সীমান্তের ওপারে বাসিন্দাদের ঢাল করে, জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মানসিকতা নিয়ে এবার উদ্বেগপ্রকাশ করল ভারত। যে দেশ নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সে দেশ এত মিথ্যাচারণ করে কী করে, প্রশ্ন তুলেছে নয়াদিল্লি। এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের তরফে বারবার পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কথা কানে তুলছে না ইসলামাবাদ। তবে ভারত এখনও সংযত আছে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায়,''সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় নাগরিক ও সীমান্তে সেনা ছাউনিগুলিকে টার্গেট করছে তারা। এব্যাপারে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। চলতি বছর ২০৫০ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। মারা গিয়েছেন ২১ জন ভারতীয়।''
কিন্তু আর কতদিন সংযত থাকবে ভারত? তা নিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। সেই হুঁশিয়ারি হাতে কলমে হলে, বিপদে পড়বে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মুখোশ দেওয়া হোক। চাইছে কংগ্রেস। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাক সেনা। সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন। ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি নিয়ন্ত্রণের সমঝোতার কথা স্মরণ করাচ্ছে ভারত। কিন্তু উস্কানি থামছে কই।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে। অথচ ভিকটিম কার্ড খেলছে পাকিস্তান। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মত নয়াদিল্লির।
আরও পড়ুন- ছবি: বিদেশি নাগরিকদের জন্য অসমে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প, কী থাকছে?