মৃত্যুর পেছনে ভয়ঙ্কর কোনও ভাইরাস! এক মাসে গির অরণ্যে মৃত ২১ সিংহ
২০১৫ সালে গণনা অনুযায়ী গির অরণ্যে সিংহের সংখ্যা ৫২০। দেশের অন্য কোথাও এত সিংহ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটের গির অরণ্যে সিংহের মৃত্যু কোনও ভাবেই ঠেকান যাচ্ছে না। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গির অরণ্যে ১২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার তা বেড়ে হল ২১। এদের মধ্যে ৪টি সিংহের মত্যু হয় চিকতসার সময়ে। সাতটি সিংহের মৃতদেহ মেলে জঙ্গলে।
এশিয়ায় এই ধরনের সিংহের একমাত্র বাসস্থান গুজরাটের গির। এক মাসের মধ্যে এতগুলো সিংহের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন ও বনকর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে কোনও মারাত্মক ভাইরাসের প্রকোপেই একের পর এক সিংহের মত্যু হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে ঢুকতে বাধা কিষাণ ক্রান্তি পদযাত্রাকে, পুলিসের লাঠি-কাঁদানে গ্যাসে তুলকালাম গাজিয়াবাদ
মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় বেরিলির ভেটেনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও দিল্লির জাতীয় পশু উদ্যান থেকে বিশেষজ্ঞদের আনা হয়েছে গির অরণ্যে। একের পর এক সিংহ অসুস্থ হয়ে পড়ায় গির অরণ্যে তল্লাশি চালিয়ে গত ২০-৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে ১০টি অসুস্থ সিংহকে উদ্ধার করা হয়। এদের চিকতসা চলছে।
গুজরাট সরকারের বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঠিক কোন ভাইরাসের আক্রমণে একের পর এক সিংহের মৃত্যু হচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ৪টি সিংহ ভাইরাস আক্রান্ত।
মৃত কয়েকটি সিংহের রক্ত ও টিসুর নমুণা পরীক্ষা করা হয় জুনাগড়ের ভেটেনারি কলেজে। ওই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬টি সিংহের দেহে এক ধরনের ছত্রাক রয়েছে। তার প্রভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে সিংহগুলি।
আরও পড়ুন-সকেট বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ নাগেরবাজারে, প্রাথমিক তদন্তের পর জানাল পুলিস
গত ২১ সেপ্টেম্বর গুজরাটের গির অরণ্যে ১১ সিংহের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তের আদেশ দেয় গুজরাট সরকার। মৃত সিংহদের দেহ মেলে গির অরণ্যের পূর্বাঞ্চলের ডালখানিয়া রেঞ্জে। জানিয়েছেন, গির অরণ্যের(পূর্বাঞ্চল) অধিকর্তা পি পুরুষোত্তম। একটি সিংহের মৃতদেহ মেলে আমলেরি জেলার রাজুলাতে। পাশাপাশি অন্য তিনটি সিংহের দেহ পাওয়া যায় ডালখানিয়া রেঞ্জে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গণনা অনুযায়ী গির অরণ্যে সিংহের সংখ্যা ৫২০। দেশের অন্য কোথাও এত সিংহ নেই। ফলে একসঙ্গে ১১টি সিংহের মৃত্যুতে রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য পরিমল নাথওয়ানি দাবি করেছেন, সিংহগুলি কোনও বিষক্রিয়া কিংবা চোরা শিকারিদের গুলির শিকার হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।