পেহলু খানের নাম চার্জশিটে নেই, চাপে পড়ে জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী
গেহলট জানিয়েছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযুক্তদের ফাঁসানো হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতের নামই চার্জশিটে? রাজস্থানের আলওয়ারে গণপিটুনিতে নিহত পেহলু খানের নামে চার্জশিটে থাকা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। তবে এর মধ্যেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
আরও পড়ুন-মহাদেবের দিব্যি কাটমানি খাইনি, জনরোষ থেকে বাঁচতে শিব মন্দিরে তৃণমূলের নেত্রী
শনিবার গেহলট জানান পেহলু খানের নাম চার্জশিটে নেই। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় রাজস্থান পুলিস যে চার্জশিট দেয় তাতে পেহলু খানের নাম ছিল না। ওই চার্জশিট দেওযা হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।
এদিকে, একদিন আগেই চার্জশিটে পেহলু খানকে ‘গরু পাচারকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাজস্থান পুলিস। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের পশু সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি পেহলু খান ও তার দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। তবে গেহলট জানিয়েছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযুক্তদের ফাঁসানো হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও নইবের বোলিং ও ভুল আম্পায়ারিঙের খেসারত দিল আফগানিস্তান
অন্যদিকে, আলওয়ারের পুলিস সুপার অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, মারা যাওয়ার পর তার চার্জশিট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পেহলুর নাম। মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আলওয়ারে গোরক্ষকদের হাতে খুন হন দুধ ব্যবসায়ী পেহলু খান। তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে হরিয়ানা থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাদের আটকায় গোরক্ষকরা। গণপিটুনিতেই তাদের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আট জনকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত জামিন পেয়ে যায় তারা।