অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক আজ, রাজ্যের তরফে রয়েছেন অমিত মিত্র
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে সোমবার যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের তরফে বৈঠকে থাকবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্যগুলিতে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে সোমবার যোগ দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের তরফে বৈঠকে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্যগুলিতে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন রাজ্যে নকশাল হানার বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।
আইবি রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, রাজ্যগুলির তরফে এই অভিযোগ বারবারই ওঠে। আইবির পারফরম্যান্স নিয়েও রবিবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিক্রয়কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যগুলির প্রাপ্য রাজস্বের পরিমাণ কমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সরব হয়েছেন। এ বিষয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে আজকের বৈঠকে। প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুর ২ টোয় মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন চিদম্বরম। দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রে খবর, আগামী ৫ মে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার (এনসিটিসি) ইস্যুতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনসিটিসি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ১৬ এপ্রিল। কিন্তু এই বিতর্কিত ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার জন্য নির্ধারিত দিন ১৬ এপ্রিল থেকে পিছিয়ে ৫ মে করার দাবি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ললিতা, নবীন পট্টনায়েক সহ বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী।
এনসিটিসি`র বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন ওড়িশা, তামিলনাড়ু, গুজরাট সহ ৬টি রাজ্য। বিরোধিতা করেছেন ইউপিএ শরিক তৃণমূল কংগ্রেসও। যদিও তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে এনসিটিসি ইস্যুতে সংসদে ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি তৃণমূল। ঘরে-বাইরে বিরোধিতায় চাপে পড়েই এনসিটিসি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।