অমৃতসর দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের দিকে লাঠি হাতে তেড়ে গেল 'ঠুঁটো জগন্নাথ' পুলিসই

অমৃতসর দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা। 

Updated By: Oct 21, 2018, 01:35 PM IST
অমৃতসর দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের দিকে লাঠি হাতে তেড়ে গেল 'ঠুঁটো জগন্নাথ' পুলিসই

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাবণ দহন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় তত্পর হতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে, রবিবার সকালে সেই পুলিসই লাঠি হাতে তেড়ে গেল স্বজনহারানো বিক্ষোভকারীদের দিকে। শুক্রবার দশেরায় অমৃতসরের জোড়াফাটকের ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবরোধে বসেন স্থানীয়রা। সেই অবরোধ তুললেই লাঠিচার্জ করল পঞ্জাব পুলিস।

শনিবার জোড়াফাটকে প্রতিবাদে বসেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, এখনও অনেকে নিখোঁজ। তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। এরইসঙ্গে স্বজনহারানো পরিবারগুলিকে দিতে হবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। কমল নামে জনৈক যুবকের বক্তব্য, আমার এলাকার দুজন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ। সরকার যা বলছে, তার থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি কমলের। 

এরপর অবরোধ তুলতে আসে পুলিস। তখন পুলিসকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পঞ্জাব পুলিস। 

শনিবার হাসপাতাল ও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ঘোষণা করেন, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫৯। জখম হয়েছেন ৫৭ জন। যদিও বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার রাজু নামে এক স্থানীয়ের দাবি, এখনও নিজের বাবার দেহ খুঁজে পাননি এক ব্যক্তি। ওই দিন রাবণ দহন এসেছিলেন তাঁর বাবাও। বাবার কাপড়ের টুকরো মিললেও দেহ পাননি তিনি। 

রামকুমার নামে আরও এক স্থানীয়ের দাবি, এক পরিবারের চার সদস্যের খোঁজ এখনও মিলছে না। 

দুর্ঘটনায় নিজের দুই ভাই বিকাশ ও নিন্দরপালকে হারিয়েছেন অঞ্জু। তাঁর কথায়, কয়েকবছর ধরে এখানে দশেরার অনুষ্ঠান হচ্ছে। উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা উচিত ছিল সরকারের। 

আরও এক ব্যক্তি রেললাইনে নিজের ভাইয়ের হাওয়াই চপ্পল খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু দেহ পাননি। 

জোড়াফাটকে বিক্ষোভের জেরে এদিন দোকানপাট বন্ধ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেদিন রেললাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০০জন। 

আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা: সেলফির নেশা‍তেই বেঘোরে এতগুলি মৃত্যু? দেখুন সেই ভিডিও

.