৩৫এ ধারা নিয়ে বিতর্ক, লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের হুমকি ফারুক আবদুল্লার

নিজস্ব প্রতিবেদন: সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিলেন ন্যাশনাল কন্ফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র যদি ৩৫এ ধারা নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট না করে তাহলে ন্যাশনাল কন্ফারেন্স পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন বয়কট করবে।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরে বাইরের কেউ কোনও সম্পত্তি কিনতে পারে না। পাশাপাশি কোনও কাশ্মীরি মহিলা ভিন রাজ্যের কাউকে বিয়ে করলে তিনি বাবার কোনও সম্পত্তির অধিকারী হতে পারেন না। বিজেপি বিষয়টিকে ইস্যু করার চেষ্টা করেছে বারেবারেই। সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে একটি মামলাও চলছে। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন আবদুল্লা।

আগামী ১ অক্টোবর রাজ্যে পুরসভা ও নভেম্বরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু পিডিপি ও রাজ্যের অন্যান্য কয়েকটি দল নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে। গত সপ্তাহেই রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ফারুক আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য ছিল ৩৫এ ধারা নিয়ে রাজ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যে কোনও নির্বাচন সম্ভব নয়। ৩৫এ ধারা নিয়ে রাজ্যে যা চলছে তার জন্য দায়ি কেন্দ্র।

ফারুক আবদুল্লা আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সাহেব ফের কাশ্মীরকে ছুরি মেরেছেন।তিনি বলেছেন, কাশ্মীরের জন্য পৃথক নিয়মকানুন সংবিধান লঙ্ঘনের সামিল। তা যদি হয় তাহলে, কাশ্মীরের ভারতভূক্তিও সংবিধান সঙ্ঘনের সামিল। একদিকে তোমরা বলছ, সাংবিধানিক নির্বাচনে অংশ নাও। অন্যদিকে ৩৫এ ধারা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছ। এভাবেই তোমরা ৩৭০ ধারাও তুলে দেবে। এটাই যদি তোমাদের রাস্তা হয় তাহলে আমাদের রাস্তাও ভিন্ন।

এদিকে নির্বাচন বয়কট করা নিয়ে ফারুক আবদুল্লাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। তিনি বলেন, ফারুক আবদুল্লা বরাবরই রাজনীতি করেছেন। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় কিছুই করেননি। এখন মোদীজি যখন কিছু করার চেষ্টা করছেন তখন তাতে বাধা দিচ্ছেন এনসি নেতা। ফারুকের যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে আপত্তি থাকে তাহলে উনি কারগিলে নির্বাচনে লড়লেন কীকরে?