কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে গেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি
৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর দ্বিতীয়বার জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গেল বিদেশি প্রতিনিধি দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে গেলেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রয়েছেন ওই দলে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। একইসঙ্গে রাজ্যকে ভাগ করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর দ্বিতীয়বার জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গেল বিদেশি প্রতিনিধি দল।
দক্ষিণ কোরিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, গয়ানা, আর্জেন্টিনা, নরওয়ে, ফিলিপিন্স, মালদ্বীপ, টোগো, ফিজি, পেরু, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রয়েছেন ওই দলে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরও যাওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, গাইড নিয়ে যেতে চান না তাঁরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। পরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। সরকারি সূত্রের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে যেতে চেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু এত স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। পরে নিয়ে যাওয়া হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
গতবারের মতো এবারও শ্রীনগর ও জম্মুতে যাবেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সেনার থেকে নিরাপত্তা ও পরিস্থিতির তথ্যও নেবেন। রাজ্যপালের বাড়িতে প্রাক্তন মন্ত্রী আলতাফ বুখারির নেতৃত্বে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন সারেন প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের মধ্যে কথাও হয়। গতবছর বুখারিকে বহিষ্কার করেছিল মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। যে রাজনীতিদের আটক করা হয়নি, তাঁদের মধ্যে একজন তিনিও। টুইট করে স্বাগত জানিয়েছে পিডিপি। তারা মনে করছে, সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
Srinagar: Delegation of 15 foreign envoys meets political leaders from Jammu and Kashmir including Ghulam Hasan Mir, Altaf Bukhari, Shoaib Iqbal Lone, Hilal Ahmed Shah, Noor Mohd Sheikh, Abdul Majid Padder, Abdul Rahim Rather and Rafi Ahmed Mir pic.twitter.com/ygC6vTrcuK
— ANI (@ANI) January 9, 2020
গতবছর অগস্টে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরকে ভাঙা হয় দুটি রাজ্যে। একটা জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটা লাদাখা। তার আগে থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জারি হয়েছিল কার্ফু। এরপর ধীরে ধীরে উঠে গিয়েছে ১৪৪ ধারা। কাশ্মীরের কয়েকটি এলাকায় এখনও কার্ফু রয়েছে। তবে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। ৩৭০ অনুচ্ছেদে কী কী সুবিধা পেতেন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা?
** ৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসনের অধিকার। এর ফলে দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেসব নিয়ম লাগু হয় তা জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে খাটতে নাও পারে।
** যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ বিষয় ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে রাজ্যে নাক গলাতে পারতো না কেন্দ্র।
** প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যে আর্থিক জরুরি অবস্থার ব্যবস্থা থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরে তা ছিল না।
জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণোয়ন করতে পারত না কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- জোট বাঁধার আগেই বিরোধী মঞ্চে ভাঙন! ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা