যাদের কিছু লুকোনোর আছে, তারাই সিবিআইকে ঢুকতে দিচ্ছে না: জেটলি
চন্দ্রবাবু নাইডু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
![যাদের কিছু লুকোনোর আছে, তারাই সিবিআইকে ঢুকতে দিচ্ছে না: জেটলি যাদের কিছু লুকোনোর আছে, তারাই সিবিআইকে ঢুকতে দিচ্ছে না: জেটলি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/11/17/156062-755431-mamata-chandrababu-naidu.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইকে দেওয়া 'সাধারণ সম্মতি' প্রত্যাহার করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ। আর দুই রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর কথায়, ''যে রাজ্যগুলির অনেক কিছু লুকোনোর আছেই, তারাই তদন্তকারী সংস্থার বিরোধী''।
অরুণ জেটলি বলেন,''যাদের লুকোনোর অনেক কিছু রয়েছে, তারাই নিজেদের রাজ্যে সিবিআইকে ঢুকতে দিচ্ছে না। দুর্নীতির ব্যাপারে কোনও রাজ্যের সুরক্ষা কবচ নেই। কোনও একটি মামলার সাপেক্ষে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এই পদক্ষেপ করেনি, বরং ভবিষ্যতের আশঙ্কায় করেছে''। জেটলির অভিযোগ, সিবিআইকে ঢুকতে না দিয়ে সারদা-নারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে বাঁচা সম্ভব নয়।
সিবিআইকে সাধারণ সম্মতি বা General Consent প্রত্যাহার করে নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। চলতি মাসের ৮ নভেম্বর সিবিআইকে বিনা অনুমতিতে রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের সভায় তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সঠিক কাজ করেছেন। উনি সিবিআইকে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেবেন না। আমিও আইনটা দেখে নেব। আগে প্রয়োজন ছিল না। কারণ বিজেপি পার্টি অফিস থেকে নির্দেশ দেয়''।
তারপরই নবান্নে বসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন জানায়, ১৯৮৯ সালে সিবিআই-কে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করা হল। এবার থেকে রাজ্যে সিবিআই তদন্ত বা তল্লাশি করকে গেলে আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন- চিনের কাছ থেকে মলদ্বীপ ছিনিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রে পা রাখলেন মোদী