ব্যবস্থা নেইনি দল, তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে সংসদ, বলছে অতীত ইতিহাস
তাপস পালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি দল বা প্রশাসন। কিন্তু, তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সংসদ। অতীতে এমন নজির রয়েছে বেশ কয়েকটি।
তাপস পালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি দল বা প্রশাসন। কিন্তু, তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সংসদ। অতীতে এমন নজির রয়েছে বেশ কয়েকটি।
সালটা উনিশশো একান্ন। তুমুল ঝড় উঠল সংসদ ভবনে। অভিযোগ, দুহাজার টাকা ঘুষ নিয়ে সংসদে বম্বে স্বর্ণব্যবসায়ীদের সংগঠনের হয়ে সওয়াল করেছেন তত্কালীন সাংসদ H G মুদগল। বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জামাই ফিরোজ গান্ধী। গুরুতর অভিযোগ। কিন্তু, প্রথমে তা মানতেই পারছিলেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী। জামাইয়ের সঙ্গে এনিয়ে রীতিমতো বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেহরু। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। T T কৃষ্ণমাচারির নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতেই ধরা পড়ে সত্যিই ঘুষ নিয়েছিলেন মুদগল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব দেয় কমিটি। কিন্তু, তা কার্যকরের আগেই ইস্তফা দেন এই কংগ্রেস সাংসদ।
১৯৫১র পর সরাসরি ২০০৫। প্রশ্ন তোলার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাংসদ পদ খারিজ হয় এগারোজন সদস্যের। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পবনকুমার বনসলের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন লোকসভার তত্কালীন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাংসদ পদ খারিজ হয় বিজেপির M K আন্নাসাহেব পাতিল, Y G মহাজন, প্রদীপ গান্ধী, চন্দ্রপ্রতাপ সিং এবং সুরেশ চান্ডেলের। বিএসপির রাজারাম পাল, নরেন্দ্র কুশাওয়া এবং লাল চন্দ্র, আরজেডির মনোজ কুমার এবং কংগ্রেসের রামসেবক সিংয়েরও সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।