রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী, মোদীর বাপের নাম কী? প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার

প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার। 

Updated By: Nov 25, 2018, 04:32 PM IST
রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী, মোদীর বাপের নাম কী? প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর মায়ের বয়স নিয়ে কটাক্ষের পর এবার নরেন্দ্র মোদীর বাবার নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর দলের নেতা বিলাসরাও মুত্তেমবার প্রশ্ন করেন, রাহুল গান্ধীর বাবার নাম সকলে জানেন। কিন্তু মোদীর বাবার নাম কী?  

বিজেপির টুইট করা ভিডিওয় মুত্তেমবারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ''প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদীকে কে চিনতেন? নরেন্দ্রর বাবার নাম কী? রাহুল গান্ধীর বাবাকে সকলে চেনেন। রাহুলের বাবার নাম রাজীব গান্ধী। রাজীব গান্ধীর মায়ের নাম ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরার বাবার নাম পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। জওহরলালের বাবা মতিলাল নেহরু। পাঁচ প্রজন্ম ধরে রাহুল গান্ধীর পরিবারকে মানুষ চেনেন। কিন্তু মোদীর বাবার নাম কী''? 

এর আগে মোদীর মায়ের বয়স নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। মধ্যপ্রদেশের সভায় রাজ বব্বর বলেছিলেন,''ডলারের নিরিখে টাকার অবমূল্যায়নে উনি (মোদী) বলতেন, প্রধানমন্ত্রীর (মনমোহন সিং) বয়স ছুঁয়ে ফেলবে। আজ টাকা এতটা নামছে যে আপনার পূজনীয় মায়ের বয়সের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে''। তার পাল্টা প্রধানমন্ত্রী জবাব দেন, ''কংগ্রেস যদি মনে করে প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালি দিলে তাদের জামানত বেঁচে যাবে তাহলে ভুল করছে। গত ১৮ বছর ধরে ছাতি চওড়া করে কংগ্রেসের মোকাবিলা করেছি। আজ কংগ্রেস এত নীচে নেমে গিয়েছে যে আমার মাকে নির্বাচনী প্রচারে টেনে আনছে।'

প্রধানমন্ত্রীর জাত নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা সিপি জোশী। বলেছিলেন, ''উমা ভারতী লোধি। অথচ হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলছেন। মোদীও হিন্দুত্বের কথা বলে বেড়ান। কিন্তু একমাত্র ব্রাহ্মণরাই বলেন না। ৫০ বছরে তাঁরা হারা গিয়েছেন। দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ধর্ম ও প্রশাসন একেবারে ভিন্ন ব্যাপার। সকলের নিজ ধর্মচারণের অধিকার রয়েছে। ওরা বলছে, কংগ্রেস নেতারা হিন্দু নন। কে ওদের শংসাপত্র দিতে বলেছে? কোনও বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে নাকি ওরা? একমাত্র ব্রাহ্মণরাই হিন্দুত্বের ব্যাপারে জানেন''। পরে রাহুল গান্ধীর নির্দেশে ক্ষমা চান সিপি জোশী। টুইটারে রাহুল লেখেন,''সিপি জোশীর বক্তব্য কংগ্রেসের আদর্শ বিরোধী। দলের নেতারা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না, যা সমাজের কোনও অংশকে আঘাত করে। কংগ্রেসের নীতি ও কর্মীদের ভাবনার সম্মান করে নিজের ভুল বুঝতে পারবেন সিপি জোশী। নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর''।   

আরও পড়ুন- তেরঙা হাতে কেঁদে ফেললেন সোনার মেয়ে, নিলেন এই কঠিন শপথ

 

.