বিষমদে যোগীর রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪, আশঙ্কাজনক আরও অনেকে
উত্তর প্রদেশ পুলিসের দাবি, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডে একটি অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় সমাগম হয়েছিলেন সাহারনপুরের বেশ কিছু গ্রামবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের পর উত্তর প্রদেশ! বিষমদ কাণ্ডে গত ৪ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কমপক্ষে আরও ২০ জন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের সাহারনপুরে ৩৬ এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের কুশিনগরের ৮ জনের এই মুহূর্তে মৃত্যুর খবর মিলেছে।
উত্তর প্রদেশ পুলিসের দাবি, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডে একটি অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় সমাগম হয়েছিলেন সাহারনপুরের বেশ কিছু গ্রামবাসী। সেখান থেকেই আনা হয় বিষমদ। পুলিসের দাবি, ওই মদ সাহারনপুরে বিক্রি করা হয়েছে। অন্যদিকে, যে রাজ্যে মদ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ সেই বিহার থেকে নাকি কুশিনগরে মদ পাচার হয় বলে অভিযোগ তোলে যোগীর পুলিস। সাহরনপুরের জেলাশাসক একে পাণ্ডে বলেন, “দ্রুত চিকিত্সার ব্যবস্থা করা গেলে হয়ত মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত। পিন্টু নামে এক অভিযুক্ত ৩০টি চোলাই প্যাকেট নিয়ে সাহরনপুরে বিক্রি করে। দু’একটি প্যাকেট উদ্ধার করা গিয়েছে।”
আরও পড়ুন- ‘রুগ্ন’ শিল্পপতিকে চাঙ্গা করতেই কি রাফাল চুক্তি, প্রশ্ন বিজেপি জোটসঙ্গী শিবসেনার
এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে যোগীর প্রশাসন। শুরু হয় বেআইনি মদের দোকান ভাঙার অভিযান। সাহারনপুরের এসপি দিনেশ কুমার জানান, দুই রাজ্যের সীমান্তে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। খোঁজ চলছে বিষমদের প্রস্তুতকারীদের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে বেআইনি মদ প্রস্তুত এবং বিক্রিতে লাগাম টানা হচ্ছে। কুশিনগরের জেলা আবাগারি ইনস্পেকটর-সহ একাধিক অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। সূত্রে খবর, বেশ কিছু পুলিস অফিসারকে বরখাস্ত করেছে যোগী সরকার। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর উত্তর প্রদেশে এমন ৮টি বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের। গত বছর নভেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুরে বিষমদে মৃত্যু হয় ১২ জনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা আসার পরপরই ২০১১ সালে ভয়াবহ বিষমদ কাণ্ডে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১৭৩ জন। সে সময় পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় মমতা সরকার।