'১৪ বছরের নিচে শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করা উচিত', জানালেন কৈলাশ সত্যার্থী
কেন্দ্রের শিশু শ্রমনীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত প্রখ্যাত সমাজকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। তিনি দাবি করেন ১৪ বছরের নিচে সমস্ত শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। এদিকে শর্তসাপেক্ষে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করার ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেন্দ্র। এই ছাড় শুধু মাত্র পারিবারিক ব্যবসা এবং বিনোদন শিল্পে কাজ করার জন্য। তবে কাজ করানো যাবে শুধুমাত্র স্কুল ছুটির পর কিংবা ছুটির দিনে। এই মর্মে শিশু শ্রম আইনে সংশোধনী আনবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই সংসদে পেশ হবে ওই সংশোধনী।
ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রের শিশু শ্রমনীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত প্রখ্যাত সমাজকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। তিনি দাবি করেন ১৪ বছরের নিচে সমস্ত শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। এদিকে শর্তসাপেক্ষে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করার ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেন্দ্র। এই ছাড় শুধু মাত্র পারিবারিক ব্যবসা এবং বিনোদন শিল্পে কাজ করার জন্য। তবে কাজ করানো যাবে শুধুমাত্র স্কুল ছুটির পর কিংবা ছুটির দিনে। এই মর্মে শিশু শ্রম আইনে সংশোধনী আনবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই সংসদে পেশ হবে ওই সংশোধনী।
সারা জীবন শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এসেছেন কৈলাশ সত্যার্থী। ভুপালের এক অনুষ্ঠানে, 'বাচপন বাঁচাও আন্দোলনে'র প্রতিষ্ঠাতা সত্যার্থী জানান, "প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষা দেওয়া অবশ্যই জরুরি। কারণ শিশু শ্রম হল পৃথিবীর দারিদ্র, অশিক্ষা, অসুস্থতারই একটি অঙ্গ। তাই পৃথিবীর বুক থেকে সম্পূর্ণ উত্খাত করা দরকার।"
একদিকে শিশুর অধিকার। অন্যদিকে, দেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতা। এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে শিশু শ্রম আইনে কিছু বদল করতে চলেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মর্মে কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শিশু শ্রম আইন অনুযায়ী এতদিন আঠেরোটি বিপজ্জনক শিল্পে চোদ্দ বছরের কমবয়সিদের দিয়ে কাজ করানো নিষিদ্ধ ছিল। নতুন প্রস্তাবে, চোদ্দ বছরের কমবয়সীরা শুধুমাত্র পারিবারিক ব্যবসা অথবা বিনোদন শিল্পেই কাজ করবে। শিশু অধিকার রক্ষা কর্মীদের মতে এই সংশোধনী গৃহীত হলে অনেক বেশি শিশু আইনের আওতায় আসবে।
তবে এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে শর্তসাপেক্ষে। শিশুদের শিক্ষার অধিকারও সুনিশ্চিত করতে চায় কেন্দ্র। তাই পারিবারিক ব্যবসা বা বিনোদন ক্ষেত্রে শিশুরা শুধুমাত্র স্কুল ছুটির পর অথবা ছুটির দিনেই কাজ করতে পারবে। কিন্তু এই উদ্যোগ কতটা কার্যকরি হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। এবার থেকে বিপজ্জনক শিল্পে আঠেরো বছরের কমবয়সিদের নিয়োগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে আইন ভাঙলে নিয়োগকর্তাদের জরিমানা বাড়বে। বাড়বে কারাদণ্ডের মেয়াদ। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই নতুন এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে একমত নন শিশু অধিকার কর্মীরা। প্রস্তাবিত কয়েকটি সংশোধনীকে স্বাগত জানালেও, তাঁরা মনে করছেন, শিশু শ্রম পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দিকেই যাওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের।