ভয়ংকর! বাবা-মাকে মেরে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে চম্পট ছেলের
শরথ তার ৬১ বছর বয়সী বাবা ভাস্কর ও ৬০ বছর বয়সী মা সান্থাকে খুন করে। তারপর ঘরের মধ্যেই বাবা-মায়ের নিথর দেহ ফেলে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চম্পট দেয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাবা-মাকে খুনের পর বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে ঘর বন্ধ রেখে পালাল ছেলে। ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। ছেলে যখন তাঁদের মেরে ফেলছে, তখন বাঁচার জন্য সাহায্য় চেয়ে আর্ত চিৎকার করেছিলেন বাবা-মা। সেই চিৎকার শুনেছিলেন পাড়া পড়শিরাও। কিন্তু সবাই ভেবেছিলেন, এটা কোনও রোজকার ঝামেলা। তাই অতটা মনোযোগ দেননি তাঁরা। শেষে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাবা-মায়ের নিথর দেহ।
অভিযুক্ত ২৭ বছরের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বেঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঘটে খুনের ঘটনাটি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। খুনের পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ছেলে শরথ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। অভিযোগ, শরথ তার ৬১ বছর বয়সী বাবা ভাস্কর ও ৬০ বছর বয়সী মা সান্থাকে খুন করে। তারপর ঘরের মধ্যেই বাবা-মায়ের নিথর দেহ ফেলে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চম্পট দেয়।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত শরথ তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত। আর তার বড় ভাই সজিথ কাছেই টিন্ডলুতে থাকেন। এখন সজিথ যখন খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর বাবা-মাকে ফোন করেন, তখন ফোনে কোনও সাড়া না মেলায় দ্রুত বাড়িতে আসেন। সজিথ জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি এসে দেখেন ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। এরপরই দরজা ভেঙে সজিথ তাঁর বাবা-মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আর তাতেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, সান্থা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ছিলেন। আর ভাস্কর একটি সরকারি অফিস কমপ্লেক্সের ক্যান্টিনে ক্যাশিয়ার ছিলেন। আদতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার উল্লালের বাসিন্দা ভাস্কর ও সান্তা ১২ বছর আগে সন্তানদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে এসেছিলেন। তারপর সেখানেই থাকতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, যে শরথ এবং তার বাবা-মায়ের মধ্যে ঘন ঘন ঝগড়া হত। যদিও কী কারণে, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, ১০ বছরের নাবালিকা পরিচারিকাকে মেরে চোখে-হাতে কালশিটে! পাইলট দম্পতিকে বেধড়ক মার