ভারতরত্ন পেলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হল অটল বিহারী বাজপেয়ীকে। দিল্লির কৃষ্ণ মেনন মার্গে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বাজপেয়ীর বাড়িতে যান। ভারতরত্ন বাজপেয়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রথমসারির রাজনীতিকরা। টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Mar 27, 2015, 07:10 PM IST
ভারতরত্ন পেলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

ওয়েব ডেস্ক: ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হল অটল বিহারী বাজপেয়ীকে। দিল্লির কৃষ্ণ মেনন মার্গে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বাজপেয়ীর বাড়িতে যান। ভারতরত্ন বাজপেয়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রথমসারির রাজনীতিকরা। টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শরীর সায় না দেওয়ায় রাজনীতি থেকে সরে গেছেন। মানুষের মনে কিন্তু আগের মতোই রয়ে গেছেন তিনি। জওহরলাল নেহরুর পর অটলবিহারি বাজপেয়ীর মতো আর কোনও প্রধানমন্ত্রীই সম্ভবত এই ছাপ রাখতে পারেননি। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীও জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু, বিতর্ক এড়াতে পারেননি তাঁরা। সে দিকে থেকে বাজপেয়ী বরাবরই এক অজাতশত্রু, বিরল ব্যক্তিত্ব।

বড় ঘরে জন্ম নয়। শুধুমাত্র মেধা আর অধ্যবসায়ের জোরে জাতীয় রাজনীতির প্রথম সারিতে উঠে এসেছেন বাজপেয়ী। জনসঙ্ঘের সীমিত পরিসরেই হয়ে উঠেছিলেন দেশনেতা। জরুরি অবস্থার
বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছেন। তিনিই তো প্রকৃত অর্থে দেশের প্রথম অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জনতা সরকারে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। সুবক্তা বাজপেয়ীর হিন্দি ভাষণ শুনেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ভারত-পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে যাতায়াত বাড়াতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। জয় করে নিয়েছেন ওয়াঘার দুই পারের হৃদয়। কার্গিল যুদ্ধের পরও পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুতায় আস্থা রেখেছিলেন বাজপেয়ী। দিল্লি থেকে লাহোর পর্যন্ত বাস নিয়ে গেছেন। বরাবরই তিনি চেয়েছেন দুই প্রতিবেশির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। পোখরান টু থেকে স্বর্ণ চতুর্ভুজ - দেশের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে নিজের মুকুটে নিজেই জুড়েছেন একের পর এক পালক। তবে, বাজপেয়ীর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বোধহয়, বিজেপি নেতা হয়েও গোটা দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখ হয়ে ওঠা।

.