অপহরণ করে গর্ভপাত, মেয়ের মৃত্যুর দায়ে পঞ্জাবের মন্ত্রীর জেল
ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের এক মাসের মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়াল পঞ্জাবের অকালি-বিজেপি জোট সরকার। নিজের মেয়েকে অপহরণ এবং জোর করে গর্ভপাত করাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে প্রকাশ সিং বাদল ক্যাবিনটের প্রভাবশালী মন্ত্রী বিবি জাগির কউরকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল বিশেষ সিবিআই আদালত।
ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের এক মাসের মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়াল পঞ্জাবের অকালি-বিজেপি জোট সরকার। নিজের মেয়েকে অপহরণ এবং জোর করে গর্ভপাত করাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে প্রকাশ সিং বাদল ক্যাবিনটের প্রভাবশালী মন্ত্রী বিবি জাগির কউরকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার আদালতের রায় ঘোষণার পরই ইস্তফা দেন জাগির কউর। এর পর তাঁকে পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেলে পাঠান হয়।
২০০০ সালের ২০ এপ্রিল রহস্যজনক ভাবে মারা যান জাগির কউরের ১৯ বছরের মেয়ে হরপ্রীত। সে সময় শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন শিরোমণি অকালি দল সুপ্রিমো প্রকাশ সিং বাদলের `অতি ঘনিষ্ঠ` জাগির। পরিবারের তরফে জানান হয়েছিল খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে জাগিরের। সরকারি বিধিমাফিক ময়নাতদন্ত না করেই অতি দ্রুততায় অন্ত্যেষ্টি হয় হরপ্রীতের।
কিন্তু এর পরই নতুন মোড় নেয় মৃত্যু-রহস্য। কমলজিত্ সিং নামে ব্যক্তি নিজেকে হরপ্রীতের স্বামী বলে দাবি করে চন্ডীগড় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানান, পরিবারের অমতে বিয়ে করার পর থেকেই মেয়ের উপর প্রবল মানসিক চাপ তৈরি করেন বিবি জাগির কউর। বাড়ি থেকে চলে আসার পর হরপ্রীতকে অপহরণ করে অত্যাচার করা হয়। আর সে কারণেই মৃত্যু হয় অন্তঃসত্ত্বা হরপ্রীতের। নিজের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে বিয়ের ভিডিও এবং ছবি হাইকোর্টে পেশ করেন কমলজিত্।
২০১০ পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। অবশ্য এই আগেই রাজনৈতিক চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন কমলজিত্। অকালি দলের হুমকিতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীও বিরূপ হন বলে অভিযোগ। মেয়েকে খুনের অভিযোগ থেকে জাগিরকে রেহাই দিলেও কার্যত সিবিআই আদালতের বিচারক বলবীর সিং এই রাজনৈতিক চাপের কথা মেনে নিয়েছে। জাগির কউরের পাশাপাশি হরপ্রীতকে অপহরণ ও জোর করে গর্ভপাত করানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দলবীন্দর কউর ধেসি, পরমজিত্ সিং রাইপুর এবং নিশান সিংকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি।