পাল্টা চাপ! ৭ দিনে ক্ষমা না চাইলে অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি মুকুলের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে তা জনসমক্ষে না জানালে, তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার পাশাপাশি সম্পূর্ণ আইনি পথেও যে এগানো হবে তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুলের আইনজীবী।

Updated By: Nov 15, 2017, 06:54 PM IST
পাল্টা চাপ! ৭ দিনে ক্ষমা না চাইলে অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি মুকুলের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ববাংলার লোগো ও মালিকানা বিতন্ডায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে। আজ এ কথা জানালেন মুকুলের আইনজীবী সোম মণ্ডল। ই-মেল এবং কুরিয়্যার (হার্ড কপি) উভয় মাধ্যমেই বক্তব্য জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুকুলের আইনজীবী। পাশাপাশি, ৭ দিনের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে তা জনসমক্ষে না জানালে, তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলার পথে হাঁটার হুমকিও এসেছে মুকুলের তরফ থেকে।

মুকুলের উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পাঠানো আইনি নোটিসকে ভিত্তিহীন দাবি করে এদিন সোম মণ্ডলের অভিযোগ, বিভিন্ন মনগড়া বিষয় একত্র করে এই চিঠি লেখা হয়েছিল। মুকুল রায় রানি রাসমণি রোডের সভায় যা দাবি করেছিলেন তার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পাঠানো চিঠির কোনও সঙ্গতি ছিল না বলেও জানিয়েছেন মুকুলের আইনজীবী। তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই এভাবে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন মুকুলের আইনজীবী। তাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে তা জনসমক্ষে না জানালে, তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার পাশাপাশি সম্পূর্ণ আইনি পথেও যে এগানো হবে তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুলের আইনজীবী।

আরও পড়ুন- মুকুলকে আইনি চিঠি অভিষেকের

প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর শুক্রবার কলকাতার রানি রাসমণি রোডে বিজেপির সভামঞ্চ থেকে মুকুল দাবি করেন, বিশ্ববাংলা আদতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মালিকানাধীন নয়। এরপরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং ক্ষুদ্র-কুটীর শিল্প দফতরের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা মুকুল রায়ের অভিযোগ নস্যাত্ করে দেন। পাশাপাশি, ১৩ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইনি নোটিস পাঠিয়ে মুকুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। মুকুল যদি তারপরও ক্ষমা না চান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করার হবে বলেও জানানো হয়েছিল। অভিষেকের আইনজীবী আরও বলেছিলেন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করা হবে। অভিষেকের সেই নোটিসের উত্তর যে পাঠানো হয়েছে এদিন তা জানালেন মুকুলের আইনজীবী।

পরবর্তী সময়ে সত্য জানা সত্বেও বিশ্ববাংলা প্রসঙ্গে রাজ্যের দুই শীর্ষ আমলা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে ওই আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন মুকুল রায়। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা সাংবিধানিক প্রধান কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকেও ওই দুই আমলার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন মুকুল রায়।

আরও পড়ুন- ফের মুকুল রায়ের অভিযোগ খারিজ করল নবান্ন

.