মহাজোটে যোগ দেবে না বিজেডি, নবীনের বার্তায় ব্যাকফুটে রাহুল!
ভোটের মুখে হাল্কা চালে বিজেপির বিরোধিতা যেমন করছেন, তেমনই কংগ্রেসের জন্য দরজা খোলাও রেখেছেন তিনি। রাফাল-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন নিশানা করে চলেছেন রাহুল গান্ধী
নিজস্ব প্রতিবেদন: সময় চেয়েছিলেন একটু খানি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেবেন তা বোঝা যায়নি। বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বুধবার জানিয়ে দিলেন, মহাজোটে অংশগ্রহণ করছেন না তিনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিল্লির একটি কৃষকসভা অনুষ্ঠানে নবীন পট্টনায়েক বলেন, মহাজোটে অংশগ্রহণ করব কিনা, আর একটু ভেবে দেখা দরকার। কিন্তু এ দিন স্পষ্ট করে দিলেন, কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমান দূরত্ব বজায় রেখে আগামী নির্বাচনে লড়বেন নবীন পট্টনায়েক।
ডিসেম্বরের শেষে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর রাও ফেডারেল ফ্রন্টের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন পট্টনায়েকর কাছে। তবে, এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন পট্টনায়েক। তেলঙ্গানা নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী কেসিআর যদিও দাবি করেছেন পট্টনায়েকের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। এই মুহূর্তে এনডিএ-র শরিকও নয় বিজেডি। বিভিন্ন সময় মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন- 'ভারতমাতা কি জয়' যাঁরা বলেন, তাঁরাই পাবেন নাগরিকত্ব, বললেন মোদী
ভোটের মুখে হাল্কা চালে বিজেপির বিরোধিতা যেমন করছেন, তেমনই কংগ্রেসের জন্য দরজা খোলাও রেখেছেন তিনি। রাফাল-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন নিশানা করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে কংগ্রেসের ভাল হওয়ার পর জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে রাহুলের। মহাজোট নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তবে, নবীন পট্টনায়েকও তাঁর অবস্থান তখনও স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন- সিবিআই ডিরেক্টর বর্মার কার্যপ্রণালী সিদ্ধান্তের কমিটিতে থাকছেন না প্রধান বিচারপতি!
২০০৯-র একদা এনডিএ শরিক বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএকে যেমন সমর্থন জানিয়েছিলেন, আবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দূরে থেকেছেন তিনি। অন্য দিকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটা ফোনেই এনডিএ-কে সমর্থন করেন নবীন পট্টনায়েক। অর্থাত্ বিজেপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সমান দূরত্ব নিয়ে এগিয়ে চলছেন প্রায় দু’দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা পট্টনায়েক।