BJP Foundation Day | Narendra Modi: 'মানুষের থেকে অনুপ্রেরণা পায় বিজেপি', প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্মীদের কী বার্তা দিলেন মোদী?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। নিজের ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি গোটা দেশে একটা নতুন পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, মহিলা, যুবরা বিজেপি-র প্রতি ভরসা রাখে তাই তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হচ্ছে বৃহস্পতিবার। রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য নেতারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় গোটা দেশের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী। মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বসে সেই ভাষণ শোনেন সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
মুরলীধর সেন লেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোভিডের পর মোদীজির সিদ্ধান্ত যে কত ভাল ছিল, সেটা মানুষ আজ বুঝছে। এই প্রথম, আমেরিকার থেকে আমাদের মুদ্রাস্ফীতি কম। মোদীর নেতৃত্বে এখন এটা বদলা হুয়া ভারত’।
নিজের ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি গোটা দেশে একটা নতুন পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে আসছে। কংগ্রেসকে দেখুন, বা ওর মতো পার্টির কালচার দেখুন। পরিবারবাদ রয়েছে। কংগ্রেস এবং ওদের মতো দলের পলিটিক্যাল কালচার ছোট ছোট ভাবা, এবং ছোট জয়ে নিজেদের পিঠ চাপরানো। বিজেপি অনেক বড় ভাবে। কংগ্রেস বা ওর মতো দলগুলি মহিলাদের কথা ভাবে না।
তিনি আরও বলেন, মহিলা, যুবরা বিজেপি-র প্রতি ভরসা রাখে তাই তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। ২০১৪-য় শুধু সরকার বদল হয়নি। ভারতের মানুষ ভারতের পুনর্জাগরনের শঙ্খনাদ করেছে বলেও জানিয়েছেন মোদী।
Hanuman Ji can do anything, does it for everyone, but does not do anything for Himself!
This is what the Bharatiya Janata Party derives inspiration from!
- PM @narendramodi #BJPSthapnaDiwas pic.twitter.com/yiB841NR1X
— BJP (@BJP4India) April 6, 2023
নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন, ৪৭ সালে ইংরেজ চলে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে তাঁদের মানসিকতাকে রেখে গিয়েছিল। কিছু মানুষ এই দেশের সত্তাকে নিজেদের পারিবারিক হক ভাবতেন। এবং দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে গিয়েছেন, বছরের পর বছর।
মোদী জানিয়েছেন, ‘আমি যখন লালকেল্লা থেকে স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলাম, তখন কী কী না বলেছিল। আমি যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলাম, তখন এরা পুরো শক্তি প্রয়োগ করে মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল’।
কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদশাহী মানসিকতার মানুষেরা কখনও ভাবেননি আর্টিকল ৩৭০ ইতিহাস হয়ে যাবে। কাশ্মীর, উত্তরপূর্বে শান্তি থাকবে। তিনি বলেন, বিরোধীরা বিজেপিকে ঠেকাতে না পেরে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। হতাশায় ভরে গিয়েছেন। একটাই পথ দেখছেন এখন এবং খোলাখুলি ‘মোদী তেরি কবর খুদেগি’ বলছেন।
পার্টির প্রতি পরামর্শে মোদী বলেন,’ ৬-৭ বছর বাদে ভারতীয় জনতা পার্টির ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তখন পার্টির রূপ কি হবে, পার্টির লক্ষ্য কী হবে তা এখন থেকেই স্থির করতে হবে। নয়া ইনোভেশনকে আনতে হবে। নতুন ভাবতে হবে।
তিনি সকলকে জানিয়েছেন, ‘আমার পরামর্শ হল, আমরা পার্টিতে টেকনোলজি আনতে পারি। আমরা টেকনোলজি সেল তৈরি করতে পারি সব জায়গায়। টেকনোলজিতে এক্সপার্ট ছেলেদের যুক্ত করি যাতে তাঁরা নতুন নতুন টেকনোলজির খোঁজ দিতে পারেন আমাদের। এবং কীভাবে সেই টেকনোলজি সাধারণের কাছে পৌঁছনো যায়, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে’।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত বাছাই করা কিছু কার্যকর্তার টিম বানিয়ে তাঁদের ট্রেনিং দিতে হবে।
নিজের ভাষণে মোদী জানিয়েছেন, ‘আমার ইচ্ছা যুব, মহিলা কর্মীরা অন্য দেশের রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করুন। আইডিয়া শেয়ার করুন। সাংসদদের অনুভব যাতে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বেশি ভাগ করে নিতে পারেন, সেটা দেখতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে, সব মোর্চা সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে আওয়াজ ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুক। যাতে দ্রুত মানুষের সমস্যার সমাধান করা যায়’।
মোদী আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের ফিউচার রেডি হতে হবে। নতুন ইন্টেলেকচুয়াল সেলও তৈরি করা যেতে পারে। বিদগ্ধ মানুষদের নিয়ে সেমিনার করা যেতে পারে। লোকে এখন থেকেই বলছেন ২০২৪ সালে বিজেপি-কে কেউ হারাতে পারবে না। সেটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সব মানুষের মন জিততে হবে। শুধু ভোটে জিতলেই হবে না। মানুষের মনও জিততে হবে’।