পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করায় ‘দেশদ্রোহী’ সিধুর ফাঁসি হওয়া উচিত, দাবি বিজেপি নেতার
শনিবার থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু করেছে বিজেপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে দেশজুড়ে বিভিন্ন মহলের কটাক্ষের শিকার কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। এবার প্রাক্তণ ক্রিকেটারের ফাঁসির দাবি করল বিজেপি। আমরোহায় দলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা আফতাব আডবানির দাবি, সিধু দেশদ্রোহী। তার ফাঁসি চাই।
আফতাব আডবানি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, সিধু যা করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। ভুলে যাওয়ার মতো কোনও ঘটনাই নয়। কংগ্রেসের এই দেশদ্রোহী নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী অন্তেষ্টীতে না গিয়ে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেছেন। পাকিস্তান প্রেমী এই নেতাকে পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। এরকম একজনের স্থান ভারতে নেই। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা উচিত। সম্ভব হলে সিধুর ফাঁসি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-হরিদ্বারে গঙ্গায় ভাসানো হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম
উল্লেখ্য, ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা। সৌজন্য বজায় রাখতে তিনি পাক নেতাপ্রধান কামর বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন। শুধু তাই নয় তাঁকে দেখা যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশে বসে থাকতে। এতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।
শনিবার থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু করেছে বিজেপি। গোটা বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সংবাদ মাধ্যমে বলেন, পাঞ্জাবের একজন মন্ত্রী হিসেবে ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে অন্যায় করেছেন সিধু।
আরও পড়ুন-আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গভর্নরের পাশে বসা প্রসঙ্গে পাত্র বলেন, ‘নভজ্যোত সিং সিধু সাধারণ কোনও নাগরিক নন। একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য ও এক রাজ্যের মন্ত্রী। এনিয়ে কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে। প্রটোকল অনুযায়ী সিধু পাক অধিকৃত গভর্নরের পাশে বসতে পারেন না। প্রসঙ্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট একটা সময় পেছনের দিকের চেয়ারে বসেছিলেন। পরে তাকে এনে সিধুর পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়। সিধুর উচিত ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশে বসতে অস্বীকার করা।’