এখনই প্রধানমন্ত্রী পদপার্থীর নাম ঘোষণা করছে না বিজেপি
মোদী-নীতীশ যুদ্ধে আপাতত বিরতি। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপার্থীর নাম না ঘোষণারই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। একইসঙ্গে এনডিএ-তে ভাঙন রুখতে দীর্ঘদিনের শরিক জেডিইউয়ের সঙ্গে সংঘাতে না যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
মোদী-নীতীশ যুদ্ধে আপাতত বিরতি। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপার্থীর নাম না ঘোষণারই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। একইসঙ্গে এনডিএ-তে ভাঙন রুখতে দীর্ঘদিনের শরিক জেডিইউয়ের সঙ্গে সংঘাতে না যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা নিয়ে ঘরে বাইরে বেনজির চাপের মুখে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীর নাম ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছেন দলের নীচুতলার কর্মীরা। চাপ রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারেরও। আবার প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীর নাম ঘোষণা করলে দীর্ঘদিনের শরিক জেডিইউয়ের, এনডিএ ছেড়ে যাওয়া একরকম নিশ্চিত। দিনকতক আগেই এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠক শেষে নাম না করেই মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নীতীশ কুমার। পাল্টা কড়া বিবৃতি দেওয়া হয় বিজেপির তরফেও। সাময়িক সেই উত্তেজনা থিতিয়ে যাওয়ার পর আপাতত সময় কেনারই কৌশল নিল বিজেপি।
জেডিইউয়ের তরফে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। বুধবার একই দাবি করেছে এনডিএ-র আরেক শরিক শিবসেনা। যদিও জটিলতা এড়াতে এখনই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চাইছে না বিজেপি। সভাপতি রাজনাথ সিংও দাবি করেছেন মোদী কখনই দলে বৃহত্তর দায়িত্বের দাবি জানাননি।
সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সম্পর্ক মেরামতির প্রয়াস শুরু হলেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী-নীতীশ যুদ্ধের এটাই শেষ নয়। লোকসভা ভোট যত এগোবে, ততই এই নিয়ে জটিলতা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।