আইসিইউ থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে বাজেটে মধ্যবিত্তের ভাগে কতখানি থাকবে?
সূত্রে খবর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করের হারে হাত দিচ্ছে না সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজেটে কমবে আয়কর? বাড়বে করমুক্ত সঞ্চয়ের সুযোগ? আশায় আম-জনতা। সূত্রের খবর, আয়-করে সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও, স্বস্তি দিতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে, প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি নিয়ে, সরকার কতটা দরাজ হতে পারবে, সে প্রশ্ন থাকছেই।
অর্থনীতির চাকা বসে গিয়েছে। চাই নতুন লগ্নি। সেপ্টেম্বরে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমন। আয়-কর কমানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন বাজার চাঙ্গা করতে এই দাওয়াই যথেষ্ট নয়। চাহিদা বাড়াতে আম-জনতার হাতে বাড়াতে হবে টাকার জোগান। এ যুক্তির ওপর আশা রেখে সাধারণ মানুষও চাইছেন, বাজেটে কমানো হোক আয়কর।
সূত্রে খবর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করের হারে হাত দিচ্ছে না সরকার। ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমে, ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এখন ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে তিরিশ শতাংশ কর দিতে হয়। বাজেটে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কুড়ি শতাংশ করের কথা, ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে আগের মতোই করের হার ৩০ শতাংশ থাকতে পারে।
লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে করের হার বদল করেননি তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তবে, তিনি সাড়ে ১২ হাজার টাকা রিবেট ঘোষণা করেন। ফলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হয়ে যায়। এবার, করের হার যদি নাও কমে, তাহলেও ছাড়ের অঙ্ক বাড়বে বলেই আশা আম-জনতার।
সূত্রের খবর, বাড়ান হতে পারে করমুক্ত সঞ্চয়। এলআইসি, পিপিএফে করমুক্ত সঞ্চয়ের উর্ধ্বসীমা ১.৫ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬০ হাজার টাকা হওয়ার সম্ভাবনা। আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে গৃহ-ঋণের সুদে করছাড়ের পরিমাণ ৩.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়ানো হতে পারে।
তবে, আশার সঙ্গেই থাকছে আশঙ্কাও। কর ও বিলগ্নিকরণ খাতে সরকারের আয়, প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা কমতে পারে। পরিকাঠামোয় ৫ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে লক্ষ্যমাত্রাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘাটতি মাথায় নিয়ে নতুন করছাড়ের সুযোগ কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন- ঝিমিয়ে অর্থনীতি, 'হিন্দু গ্রোথ রেট'কে টেনে তোলার কঠিন লক্ষ্যের মুখে নির্মলা