প্রধানমন্ত্রী - মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক আগামিকাল
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগামিকাল বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও আগামিকালই বৈঠক করবেন বলে প্রথমে তিনি জানালেও, পরে বৃহস্পতিবারই দুজনে বৈঠকে বসেন। এদিনই বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগামিকাল বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও আগামিকালই বৈঠক করবেন বলে প্রথমে তিনি জানালেও, পরে বৃহস্পতিবারই দুজনে বৈঠকে বসেন। এদিনই বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ, এনসিটিসি ইস্যু এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ-দিল্লিতে ঝটিকা সফরে এই তিনটি বিষয় নিয়েই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা হওয়ার কথা। রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ এবং সুদ মকুবের দাবি যে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে, তা বুধবারই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে মহাকরণে তিনি বলেছেন, "পঞ্জাবকে এর আগে সুদ মকুব করেছে কেন্দ্র। কাজেই রাজ্য সরকারের এই দাবি ন্যায্য।"
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই রাজ্যের জন্য সুদ মকুব ও আর্থিক প্যাকেজের বিষয়টি তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য কংগ্রেসকে অনেকটাই নির্ভর করতে হবে সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। ইতিমধ্যেই তৃণমূল এ ব্যাপারে বল কংগ্রেসের কোর্টে ঠেলে জানিয়েছে, আগে কংগ্রেস তাদের মতামত জানাক, তারপর দল সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই দিক থেকে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য সাক্ষাত্ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
আবার এনসিটিসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ৫ জুনের বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ইউপিএ-র অন্যতম শরিক তৃণমূলের এনসিটিসি নিয়ে আপত্তির কারণে ধাক্কা খেতে হয়েছে কংগ্রেসকে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ১১টি রাজ্য এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। বুধবারই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুদানের উপর এক বিতর্কে যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তাঁদের আপত্তি রয়েছে এনসিটিসি নিয়ে। ফলে এ নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের যে এখনও পরিবর্তন হয়নি, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এবারের দিল্লি সফরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও এনসিটিসি ইস্যুতে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়িয়ে রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি আরও জোরাল ভাবেই তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তার আগে বুধবার রাতেই সোনিয়া গান্ধীর বার্তা নিয়ে মমতা ব্যানার্জির দিল্লির বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমলনাথ। কংগ্রেসের তরফে যিনিই প্রার্থী হন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন যেন থাকে, তা নিয়ে দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কমলনাথ বলেন, তাঁর আশা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সহমতে পৌঁছনো যাবে।