কমন ম্যান আর কে লক্ষ্ণণ(১৯২১-২০১৫)
মাইসোরে ১৯২১ সালে জন্ম রসিপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণের। ছোটবেলা থেকেই ছিল গ্রাফিক্সের প্রতি অদম্য আকর্ষণ। দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিন, পাঞ্চ, বিস্টান্ডার, ওয়াইড ওয়ার্ল্ড ও টিট-বিটস ম্যাগাজিনের ভক্ত ছিলেন তিনি। নিজের জগতেই থাকতে ভালবাসতেন লক্ষ্ণণ। জীবনের অতি সাধারণ, একঘেয়ে জিনিসের মধ্যেও যে মজা লুকিয়ে রয়েছে নিজের কার্টুনের মাধ্যমে সেই কথাই বারবার তুলে ধরেছেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: মাইসোরে ১৯২১ সালে জন্ম রসিপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণের। ছোটবেলা থেকেই ছিল গ্রাফিক্সের প্রতি অদম্য আকর্ষণ। দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিন, পাঞ্চ, বিস্টান্ডার, ওয়াইড ওয়ার্ল্ড ও টিট-বিটস ম্যাগাজিনের ভক্ত ছিলেন তিনি। নিজের জগতেই থাকতে ভালবাসতেন লক্ষ্ণণ। জীবনের অতি সাধারণ, একঘেয়ে জিনিসের মধ্যেও যে মজা লুকিয়ে রয়েছে নিজের কার্টুনের মাধ্যমে সেই কথাই বারবার তুলে ধরেছেন তিনি।
কমিক স্ট্রিপ ইউ সেড ইট বিখ্যাত করে তোলে তাঁকে। আত্মজীবনী দ্য টানেল টাইমে লক্ষ্মণ লিখেছেন, নিজের বাড়ির জানলা দিয়ে যা আমার চোখে পড়ে তাই আঁকি। শুকনো পাতা, গিরগিটি, বাড়ির পরিচারক কাঠ জড়ো করছে, ছাদের ওপর কাক ডেকে চলেছে সবকিছু।
নৃত্যশিল্পী কুমারি কমলা লক্ষ্ণণকে বিয়ে করেছিলেন আর কে লক্ষ্ণণ। শিশু বয়সে বেবি কমলা নামে অভিনয় করতেন তিনি। বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার কমলা নামের অপর এক মহিলাকে বিয়ে করেন লক্ষ্ণণ। একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের জন্য নিজের স্ত্রীর কার্টুনও এঁকেছিলেন লক্ষ্ণণ। নাম ছিল 'দ্য স্টার আই অনলি মেট'! ছোটবেলায় নিজের বড় ভাই আর কে নারায়নের গল্পো খবরের কাগজে আঁকতেন লক্ষ্ণণ। যেখান থেকে পরে জন্ম নেয় রাজনৈতিক কার্টুন। দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালে শিব সেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন লক্ষ্ণণ।
এশিয়ান পেন্টসের জনপ্রিয় ম্যাসকট গাট্টু, ২০০৩ সালে দ্য ডিসটর্টেড মিরর, কমন ম্যান তাঁর অমর সৃষ্টি। তাঁর রচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে দ্য হোটেল রিভিয়েরা ও দ্য ম্যাসেঞ্জার। এছাড়াও রয়েছে ছোট গল্পের সংকলন সারভেন্টস অফ ইন্ডিয়া ও আত্মজীবনী দ্য টানেল টাইম। পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শেষ হয়ে গেল একটি অধ্যায়ের।