সরকারের দু'মুখে দু'রকম কথায় বিভ্রান্তি বাড়ছে আম জনতার
প্রধানমন্ত্রী বলছেন ক্যাশলেসই ভরসা। অর্থমন্ত্রী বলছেন নগদ থাকবে না, তা আবার হয় নাকি! সরকারের দুই মুখে দু-রকম কথা শুনে আম-আদমির বিভ্রান্তি বাড়ছে। আগামিদিনে দেশে লেনদেনের চেহারাটা ঠিক কীরকম হতে চলেছে তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে ধোঁয়াশা।
ওয়েব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী বলছেন ক্যাশলেসই ভরসা। অর্থমন্ত্রী বলছেন নগদ থাকবে না, তা আবার হয় নাকি! সরকারের দুই মুখে দু-রকম কথা শুনে আম-আদমির বিভ্রান্তি বাড়ছে। আগামিদিনে দেশে লেনদেনের চেহারাটা ঠিক কীরকম হতে চলেছে তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে ধোঁয়াশা।
৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঐতিহাসিক ঘোষণা। সে দিন আম-আদমির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজে তিনটি লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল। নোট বাতিলে উদ্ধার হবে কালো টাকা। শায়েস্তা হবে জাল নোটের কারবারিরা। টাকার জোগান বন্ধ হওয়ায় জব্দ হবে জঙ্গিরা। ৫ সপ্তাহ কেটে গেলেও এই লক্ষ্যের কতটা পূরণ হল তা চোখে দেখতে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বরং টাকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে বাড়ছে বিরক্তি।
এখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে চাঁদমারি বদলের ইঙ্গিত। তিনি বলছেন, টাকা টাকা করে খামকা লাইনে দাঁড়াবেন না। বরং গো ক্যাশলেস। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল স্বপ্নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাশলেস পেমেন্টে ছাড়ের ব্যবস্থা। এমনকি লাকি ড্র-এ কোটিপতি হওয়ার সুযোগও! এমন পরিবেশে হঠাত্ বেসুরে বাজলেন অরুণ জেটলি। অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা কমিটিতে তিনি বলে বসলেন, ডিজিটাল লেনদেন নগদের বিকল্প নয়। বরং সমান্তরাল ব্যবস্থা। কোনও অর্থনীতিই পুরোপুরি নগদহীন হতে পারে না। ক্যাশলেস বা নগদহীন অর্থনীতি আসলে লেস ক্যাশ বা কম নগদের অর্থনীতি।
পরের দিনই শুক্রবার দলের সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ডিজিটাল অর্থনীতিকে প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ করে তুলতে হবে। তবেই কার্যকর হবে এই ব্যবস্থা। গরিব মানুষ তাঁর অধিকার পাবেন এবং কালো টাকা, দুর্নীতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন আম-জনতা।
আরও পড়ুন, নোটের জন্য ভোগান্তির শেষ কবে? উঠছে প্রশ্ন