নিজামউদ্দিনে জামাতের পর পরোক্ষভাবে ৯ হাজার মানুষ আক্রান্তের আশঙ্কা: কেন্দ্র
দিল্লির নিজামুদ্দিনে মরকজে ১৩-১৫ মার্চ সমাবেশে ছিল তবলিঘি জামাতের। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও -এর অতিথিরা
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্ম সম্মেলনের জেরে এখন গোটা দেশ আতঙ্কে। নিজামউদ্দিনের জামাতে পরোক্ষভাবে করোনাভাইরাসে প্রায় ৯,০০০ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এর মধ্যে ৭,৬০০ জন ভারতীয় ও ১,৩০০ জন বিদেশি। এঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে মরকজে ১৩-১৫ মার্চ সমাবেশে ছিল তবলিঘি জামাতের। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও -এর অতিথিরা। সমাবেশের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন করোনা আক্রান্তরা। শুধু তাই নয়, নিজামউদ্দিন মরকজে একসঙ্গে থাকছিলেন ২,৩৬১ জন। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, গত ৩৬ ঘণ্টা নিজামউদ্দিনে মরকজ ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, জামাতের সভায় অংশগ্রহণকারীদের ৪৪১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- করোনা এবার হানা দিল এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে, আতঙ্কে বাণিজ্য নগরী
তবলিঘ-ই-জামাতের সভা শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন দেশ-বিদেশের যোগদানকারীরা। তেলেঙ্গানা,তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যান অনেক যোগদানকারী। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছে। নিজামউদ্দিনে অংশ নেওয়া তেলেঙ্গানার ৬ জন ও শ্রীনগরের এক ধর্মগুরুর করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। মধ্য মার্চের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ২,৫০০ মানুষ। তার মধ্যে কেবলমাত্র কাশ্মীরেরই ছিলেন ১০০ জনেরও বেশি। প্রায় প্রতিটি রাজ্যই তত্পরতার সঙ্গে নিজামউদ্দিন ফেরতদের খোঁজ শুরু করেছে। নিজামুদ্দিন থেকে বাংলায় ফিরেছেন অনেকে। নবান্ন জানিয়েছে, দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরেছেন তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
নিজামউদ্দিনে জামাতের সভার পর ৫ দিন ধরে বিভিন্ন ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ফেরেন অংশগ্রহণকারীরা। ফলে সেই ট্রেনের যাত্রীরাও যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির বাইরে নয়, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। বিশেষত করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে যাঁরা এক কামরায় যাত্রা করেছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হবে।