চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে টু-জি মামলার আবেদনের রায় স্থগিত
টু-জি কেলেঙ্কারিতে পি চিদাম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আবেদনের রায় দান স্থগিত রাখল দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। অভিযোগকারী পক্ষের আবেদন মেনে ২০০৮ সালের স্পেকট্রাম দুর্নীতির দায়ে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে কি না, সে ব্যাপারে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করতে পারেন বিচারক ও পি সাইনি।
টু-জি কেলেঙ্কারিতে পি চিদাম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আবেদনের রায় দান স্থগিত রাখল দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। অভিযোগকারী পক্ষের আবেদন মেনে ২০০৮ সালের স্পেকট্রাম দুর্নীতির দায়ে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে কি না, সে ব্যাপারে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করতে পারেন বিচারক ও পি সাইনি।
টু-জি কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার সঙ্গে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও জড়িত বলে দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বিচারক ও পি সাইনির নির্দেশে গত ১৭ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে প্রাথমিক শুনানি হয়। অভিযোগকারী পক্ষের বক্তব্য, ২০০৩ সালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার সঙ্গে মিলে স্পেকট্রামের দাম নির্ধারণ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরমই। ২০০৮ সালে তাঁরা দু’জনে মিলেই ২০০১ সালের পুরনো দামে স্পেকট্রাম বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি সিবিআই কর্তা এইচ সি অবস্তি ও অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্মসচিব সিন্ধুশ্রী খুল্লারকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করানোরও দাবি জানানো হয় অভিযোগকারীদের তরফে। গত ৭ জানুয়ারি চিদাম্বমের বিরুদ্ধে পেশ করা তথ্যপ্রমাণের সারবত্তা স্বীকার করে নেন বিচারক সাইনি। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে আরও তথ্যপ্রমাণ পেশের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন আদালতে অভিযোগকারী পক্ষের তরফে টু-জি বণ্টনের আগে অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি নোট পেশ করা হয়। ওই নোটে বলা হয়েছিল, সোয়ান এবং ইউনিটেকের মতো টেলিকম সংস্থাগুলি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট। সোয়ান টেলিকমের কর্ণধার আসিফ বালওয়া কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ট বলেও বলা হয় ওই গোপন নোটে। এই পরিস্থিতিতে চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সমঝোতার অভিযোগ এনে তাঁকে এই মামলায় সহ-অভিযুক্ত করার দাবি জানান হয় আদালতে। শুনানি শেষের পর রায় সংরক্ষিত রাখার কথা জানান বিচারক সাইনি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সরাসরি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে শুনানি শুরুর নির্দেশ দিতে পারেন বিচারক সাইনি। সে ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াবে বিরোধীরা।