Covid New Strain: লাফিয়ে বাড়ছে কোভিডের নয়া স্ট্রেইনের দাপট, বাড়ছে মৃত্যুও
JN.1 Covid variant Cases: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ৩টি ঘটনা-ই কেরলের। সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 হচ্ছে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্ট বা পিরোলারই বংশধর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের কোভিড উদ্বেগ। নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এ বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে আক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৬৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন। এরমধ্যে ৩০০ জন কেরালারই। কেরালায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৪১ জন।
ওদিকে কর্নাটকে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। তামিলনাড়ুতে ১২ জন। গুজরাটে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, কর্নাটকে মোট আক্রান্ত এই মুহূর্তে ৯২, তামিলনাড়ুতে ৮৯, মহারাষ্ট্রে ৪৫, গুজরাটে ২৩, তেলঙ্গানায় ১৪ ও পাঞ্জাবে ৬। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরীতে ২২ ও গোয়ায় ১৯। নতুন করে আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। যার মধ্যে কেরালাতেই এক দিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন কর্নাটকে। আর পাঞ্জাবে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনই অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। এমনটাই আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই কর্নাটকে সিনিয়র সিটিজেনদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে টেস্টিং ও জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্র।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 কী? জানা যাচ্ছে, সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 হচ্ছে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টেরই বংশধর। যে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। এখন এই পিরোলা বা BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1? সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটাই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। Sars-CoV-2 এ স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। কারণ এই স্পাইক প্রোটিনই মানব কোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়।
তবে সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। WHO জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' নিয়ে এখন এগোতে হবে। এটা সকলে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি, তবে প্যানিক করার, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালগুলি প্রস্তুত আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। আর এটা দেখে নেওয়ার জন্য 'মক ড্রিল' করতে হবে। সর্বস্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কমিউনিকেশন আরও বাড়াতে হবে। রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)