কাশ্মীরে পলিটেকনিক প্রবেশিকার লিখিত পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড পেল একটি গরু
একেই বলে 'সাম্যবাদ'! এবার থেকে স্কুল-কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বোধহয় বসতে পারবে পশু-পাখিরাও। অন্তত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ভাবগতিক অনেকটা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। সে রাজ্যে পলিটেকনিক ডিপ্লোমা প্রবেশিকা লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য এবার অ্যাডমিট কার্ড পেল একটি গরু! এই খবর জানাজানি হওয়ার পরেই স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে হতে চলা এই পরীক্ষায় কাচির গাউ নামের ওই গরুর খাতাটি একবার দেখতে চান।
ওয়েব ডেস্ক: একেই বলে 'সাম্যবাদ'! এবার থেকে স্কুল-কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বোধহয় বসতে পারবে পশু-পাখিরাও। অন্তত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ভাবগতিক অনেকটা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। সে রাজ্যে পলিটেকনিক ডিপ্লোমা প্রবেশিকা লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য এবার অ্যাডমিট কার্ড পেল একটি গরু! এই খবর জানাজানি হওয়ার পরেই স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে হতে চলা এই পরীক্ষায় কাচির গাউ নামের ওই গরুর খাতাটি একবার দেখতে চান।
জম্মু-কাশ্মীরের বোর্ড অফ প্রফেসনাল এন্টার্ন্স এক্সামিনাশেনস (BOPEE) পলিটেকটিক ডিপ্লোমার লিখিত প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য কাচির গাউ (বাদামী গরু) নামের এক গরুকে নামে অ্যাডমিট কার্ড দিল। অ্যাডমিট কার্ড অনুযায়ী কাচির গাউ, গুরা দন্দ (লাল ষাঁড়)-এর কন্যা। আগামী ১০ মে পলিটেকটিকের লিখিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় কাচিরের সিট পড়েছে বেমিনার গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজে।
কাশ্মীর উপত্যকায় বিরোধী দল ন্যাশনল কনফারেন্সের মুখপাত্র জুনেদ আজিম মাত্তু, কাচিরের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি আজ টুইট করেন। ছবিটির নীচে তিনি লেখেন ''ভেরিফিকেশনের পরে একটি গরুর নামে জম্মু-কাশ্মীর বোর্ড অফ প্রফেশনাল এন্টার্ন্স এক্সামিনেশনস এই রোল নাম্বার স্লিপটি ইস্যু করেছে।''
The J&K Board of Professional Entrance Examinations issued this roll-number slip to a Cow after due verification. 1/n pic.twitter.com/7Qg51kbQFH
— Junaid Azim Mattu (@Junaid_Mattu) May 2, 2015
এই টুইটটির পর বিওপিইই-কে সরকার তাড়াতাড়ি তাদের ওয়েবসাইট থেকে এই রেকর্ড তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্রে খবর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জবাবদিহিও চাওয়া হয়েছে।
কন্ট্রোলার এক্সামিনেশনস অফ বিওপিইই, ফারুক আহমেদ মির এই ঘটনার সাফাইয়ে বলেছেন কর্তৃপক্ষের খুব একটা এই ধরনের প্র্যাঙ্ক আটকানোর ক্ষমতা নেই। ''এখন সব অ্যাপলিকেশনই অনলাইনে হয়। ইমেজ রিকোগনিশন সফটওয়্যারটির মানুষ ও পশুদের ছবির মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা নেই। কেউ একটা বাজে ইয়ার্কি করেছে।'' মন্তব্য আহমেদ মিরের।
কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তাঁর সই কোথা থেকে এল? এই প্রশ্নের উত্তরে আহমেদ মিরের মন্তব্য পুরো ব্যাপারটাই সিস্টেম জেনেরেটেড। বাই ডিফল্ট তাঁর সই অ্যাডমিট কার্ডে চলে আসবে।