বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দেশজুড়ে কর্মবিরতিতে হ্যালের ১০,০০০ কর্মী
দেশজুড়ে হ্যাল-এর পাঁচটি উত্পাদন কেন্দ্রে প্রায় ২০,০০০ কর্মী কাজ করেন। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোরাপুত, ওড়িশা, লখনউ ও নাসিকে রয়েছে হ্যালের উত্পাদন কেন্দ্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পর্যাপ্ত নয় বেতন। বার বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও মেলেনি সুরাহা। তাই এবার সম্মুখ সমরে নামল হিন্দুস্থান এয়ারোনটিকাল লিমিটেডের প্রায় ১০,০০০ কর্মী। আর তার ফলে সোমবার কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল হ্যাল।
দেশজুড়ে হ্যালের ৯টি ইউনিটে কর্মবিরতি পালনে নেমেছে প্রায় ১০,০০০ কর্মী। অল ইন্ডিয়া হ্যাল ট্রেড ইউনিয়নস কোঅর্ডিনেশন কমিটি রবিবার জানায় যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের দাবিদাওয়ার বিরোধ হওয়ায়, সোমবার থেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদি কর্মবিরতিতে সামিল হবেন কর্মীরা। এ বিষয়ে কর্মী সংগঠনের প্রধান সূর্যদেবরা চন্দ্রশেখর বলেন, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্ত আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষত বেতন নিয়ে পর্যালোচনা করতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই পূর্বেই দেওয়া নোটিস অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিলেন কর্মীরা।"
আরও পড়ুন : ইনস্টাগ্রামে ৩ কোটি ছাড়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফলোয়ারের সংখ্যা!
অন্যদিকে হ্যালের তরফে জানানো হয়, সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন কর্মীরা। সেই বিষয়ে কর্মী সংগঠনের পাল্টা দাবি, ন্যায়-সংগত দাবি রাখা হলেও তা মানতে নারাজ ছিল হিন্দুস্থান এয়ারোনটিক্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
দেশজুড়ে হ্যাল-এর পাঁচটি উত্পাদন কেন্দ্রে প্রায় ২০,০০০ কর্মী কাজ করেন। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোরাপুত, ওড়িশা, লখনউ ও নাসিকে রয়েছে হ্যালের উত্পাদন কেন্দ্র। অন্যদিকে দেশজুড়ে ৪টি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে হিন্দুস্থান এয়ারোনটিকাল লিমিটেডের। এই বিপুল সংখ্যক কর্মী একসঙ্গে কর্মবিরতি পালন করায় বিপাকে পড়েছে হ্যাল। সোমবার থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্পাদন। হ্যালের তরফে বলা হয়, "কর্তৃপক্ষের তরফে আলোচনার মাধ্যমে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তাতেও আশ্বস্ত না হয়ে কর্মবিরতির পথে এগিয়েছেন কর্মীরা।"
গত কয়েক মাসে এই ইস্যুতে মোট ১১ দফায় কর্মী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে হ্যাল। আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হলেও বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কোনও স্থায়ী সমাধান সূত্রে উঠে আসেনি। ফলে সোমবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা করে কর্মী সংগঠন।