মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল ভিজিল্যান্স কমিশন, দেরি হওয়ায় ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের

গত মাসে ঘুষ কাণ্ডের বিবাদ জেরে সিবিআইয়ের অধির্কতা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক বর্মা।

Updated By: Nov 12, 2018, 03:18 PM IST
মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল ভিজিল্যান্স কমিশন, দেরি হওয়ায় ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু ঘণ্টা খানেক দেরি হওয়ায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের। সোমবার অলোক বর্মার অভিযোগের তদন্তের রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করলেন সিভিসি-র আইনজীবী তুষার মেহতা। তবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় তীব্র ভর্তসনা করল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি করবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন- স্বামীর সুপারিশে চাকরি! সমালোচনার চাপে ইস্তফা দিলেন কেরলের মন্ত্রীর স্ত্রী

প্রধান বিচারপতি কার্যত ধমকের সুরে এ দিন বলেন, “আবেদন নথিভুক্ত করার জন্য রবিবার অফিস খোলা ছিল। কিন্তু আপনারা আসেননি। এমনকী জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি।” দেরি হওয়ার কারণে ক্ষমা চেয়ে নেন সিভিসি-র আইনজীবী তুষার মেহতা। তবে, তিনি বলেন, “রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত খোলা ছিল রেজিস্ট্র। কিন্তু আমাদের আসতে ঘণ্টা খানেক দেরি হয়ে যায়।” অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের রিপোর্টও এ দিন জমা দেয় সিভিসি।

গত মাসে ঘুষ কাণ্ডের বিবাদ জেরে সিবিআইয়ের অধির্কতা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক বর্মা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, অলোক বর্মার অভিযোগের তদন্ত করবে সিভিসি। তবে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে। পাশাপাশি নাগেশ্বর রাও ইতিমধ্যে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার একটি রিপোর্টও জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন- শাহ পদবী আরবি! বিজেপি সভাপতির নাম পরিবর্তনে আর্জি জানালেন ইতিহাসবিদ হাবিব

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীর থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ে দুই কর্তা পরস্পরকে বিঁধতে থাকেন। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় আস্থানার ঘনিষ্ঠ এক সিবিআই অফিসারকে। কিন্তু অলোক বর্মার বিরুদ্ধে পাল্টা ঘুষের অভিযোগ এনে সিভিসি কাছে চিঠি পাঠান আস্থানা। দুই কর্তার পরস্পরের অভিযোগে লাটে ওঠে সিবিআইয়ের কাজকর্মও। এরপর রাতারাতি অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠিয়ে এম নাগেশ্বরকে সিবিআই অধিকর্তার পদে বসায় কেন্দ্র।

.