বিশাখাপত্তনামকে লন্ডভন্ড করে তাণ্ডব শেষে দুর্বল হল হুদহুদ। ওড়িশা, অন্ধ্রে চলছে প্রবল বৃষ্টি। মৃত ৬
HELP LINE NUMBER: দিল্লি- ০১১-২৩৩৪২৯৫৪০, ২৩৩৪১০৭২ হাওড়া- ০৩৩-২৬৩৮২২১৭ খড়গপুর- ০৩২২২- ১০৭২ রাউরকেল্লা- ০৬৬১-২৫২২৮২৮ রায়পুর- ০৮৮২৭৩৯৫৬৯৯
ওয়েব ডেস্ক: সন্ধ্যের পর ক্রমশ থেকে দুর্বল হতে শুরু করল হুদহুদ। মধ্যরাতের পর অতিতীব্র অবস্থা থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে হুদহুদ। জানাল আবহাওয়া দফতর। হুদহুদের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত উপকূলবর্তী অন্ধ্র, ওড়িশা । দুই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ছ'জনের।
ঝড়ের দাপটে কার্যত লণ্ডভণ্ড বিশাখপত্তনম। বিধ্বস্ত উপকূলের প্রায় সাড়ে ৩০০টি গ্রাম। সকাল থেকে ঝড়ের তাণ্ডবে অন্ধ্রে ইতিমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশায় ঝড়ের বলি দুইজন। বিশাপত্তনমে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের, গাছ চাপা রড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। শ্রীকাকুলামে গাছ ভেঙে পড়ে এক জন মারা গিয়েছেন। ঝড়ের দাপটে বিশাখাপত্তনমে ভেঙে পড়েছে জেলা শাসকের দফতর, আবহাওহা দফতরের রেডার। বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে মোবাইল ফোনের টাওয়ার। পনের তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীদের পরিস্থিতি নিয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪২টি দল ।
উপকূলে নামানো হয়েছে নৌসেনার উদ্ধারকারী ৩০টি দল। দুপুর ৪টে- হুদহুদের জেরে রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত। বাতিল বহু ট্রেন। ঘুরপথে চলছে ৫১টি ট্রেন। দুপুর ৩টে: হুদহুদের প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। ওড়িশার মৃত্যু হয়েছে ২। অন্ধ্রে মৃতের সংখ্যা ৩। দুপুর ২টো ৪১: হুদহুদের জেরে দক্ষিণপূর্ব রেলের ৪০ টি ট্রেন বাতিল HELP LINE NUMBER: দিল্লি- ০১১-২৩৩৪২৯৫৪০, ২৩৩৪১০৭২ হাওড়া- ০৩৩-২৬৩৮২২১৭ খড়গপুর- ০৩২২২- ১০৭২ রাউরকেল্লা- ০৬৬১-২৫২২৮২৮ রায়পুর- ০৮৮২৭৩৯৫৬৯৯
২টা ০১: বিশাখাপত্তনমে ধ্বংস শুরু করল ঘূর্ণিঝড়। ১১টা ৫৯: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরম ও পূর্ণ গোদাবরী জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশঙ্কা। ১২টা ৫৫: বিশাখাপত্তনমে ভেঙে পড়ল র্যাডার। ১১টা ৫২: উপকূলে আছড়ে পড়ল হুদহুদ। অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়। ১৮০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝড়।
সকাল ১১টা: দুপুর বারোটার মধ্যেই বিশাখাপত্তনম আর গোপালপুরের মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্নীঝড় হুদহুদ। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। স্থলভাগে আছড়ে পরার পরেই ঝড়ের গতি একশ কিলোমিটারের কাছাকাছি পৌছবে। ঝড়ের জেরে গতকাল থেকেই বিশাখাপত্তনম , গোপালপুর এলাকায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। সন্ধে থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। হুদহুদের জেরে উপকূল অঞ্চলে চব্বিশ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী তেরোটি জেলায়।
ইতিমধ্যেই কয়েকলক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সকাল ১০টা: আজ দুপুরে আছড়ে পড়তে চলেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় একশো আশি কিলোমিটার। মাঝেমধ্যে ঝড়ের তীব্রতা ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলের চারটি জেলা ও দক্ষিণ ওড়িশার আটটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সকাল ৯টা ৩০: ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আধিকারিকদের কাছে উদ্ধারকাজ, ত্রাণ, আপতকালীন ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের তরফে আপতকালীন সমস্ত ব্যবস্থা করা ও রাজ্যগুলিকে সমস্তরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন ক্যাবিনেট সচিব অজিত শেঠ।
সকাল ৯টা: ঘূর্ণীঝড় হুদহুদের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। হুদহুদের জন্য উপকূল অঞ্চলে ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। তবে এরাজ্যের উপকূলে ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গোটা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে।