কংগ্রেসের ভরাডুবিতে ডুবল বিজেপির স্ট্রাইক রেট,'সিঙ্গল ডিজিটে' মোদীর দল
দিল্লিতে মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে প্রত্যাশার চেয়েও খারাপ ফল হতে চলেছে বিজেপির। বেলা বাড়তেই ভোটপ্রবণতায় 'সিঙ্গল ডিজিট'-এ নেমে গেল গেরুয়া শিবির। মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। সেখানে ৬২টি আসনে দাপাচ্ছে ঝাড়ু।
গতবারের চেয়ে বেড়েছে বিজেপির ভোটের হার। দিল্লিতে তারা এখনও পর্যন্ত পেয়েছে ৩৮.৭৬ শতাংশ ভোট। ৫২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ৩৯ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেলেও 'স্ট্রাইক রেট' বিজেপির অত্যন্ত খারাপ। স্ট্রাইক রেট অর্থাত্ প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে কতগুলি আসন আসছে। এব্যাপারে 'পিএইচডি' ডিগ্রি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এর আগে একাধিক রাজ্যে তারা এমনটা সফলভাবে করেছে।
কেন বিজেপির স্ট্রাইক রেট এতটা খারাপ হল? ভোটের হার দেখলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আপ পেয়েছে ৫৩.৫৬% ভোট। ৩৮.৭৮% ভোট পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের ভোটের হার ৪.২৫ শতাংশ। ফলে লড়াইটা দ্বিমুখী - আপ বনাম বিজেপি। কম ভোটের হার নিয়ে স্ট্রাইকিং রেট ভালো হয়, যখন ভোট কাটাকাটির অঙ্ক থাকে। কিন্তু রাজধানীতে কংগ্রেস পরিণত হয়েছে প্রান্তিক শক্তিতে। সে কারণে ফায়দা তুলতে পারেনি বিজেপি।
প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিল্লির ভোটে মেরুকরণের ফায়দা লুটেছে আপ ও বিজেপি। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক চলে গিয়েছে আপের ঘরে। সংখ্যালঘুরা বিজেপির বিরুদ্ধে কেজরীবালের দলকে শক্তিশালী বলে মনে করেছে। সেটা ভোটের হারেও স্পষ্ট। ফলে কংগ্রেস বলতেই পারে, 'হাম তো ডুবে হ্যায় সনম, তুঝে ভি লেকে ডুবেঙ্গে।'
বিজেপিকে রোখা গিয়েছে, এতেই বেশ গদগদই কংগ্রেস নেতারা। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী তো বলেই দিয়েছেন, ''তৃতীয়বারের জন্য আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসবে, এ তো জানা কথাই। কংগ্রেসের হার অবশ্যই মেনে নিতে পারছি না। তবে বিজেপি ও তাদের সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে আপের জয় বেশ তাত্পর্যপূর্ণই।''
Congress MP AR Chowdhury: Everyone knew that Aam Aadmi Party will return to power for the third time. Congress's defeat will not send a good message. The victory of AAP against the Bharatiya Janata Party & its communal agenda is significant. pic.twitter.com/HD2vQhFfpn
— ANI (@ANI) February 11, 2020
আর এক কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথায়,''বিজেপি হারায় আমি খুশি। আপের জেতায় ততটা কষ্ট হচ্ছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছে আপ।'' নেতৃত্বের অভাবের কথা মেনে নিয়েছেন সঞ্জয় ঝা। তিনি বলেন, ''এটা তো ঘটনা, নেতৃত্বের সংকট কাটাতে পারিনি। এটা কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।''
আরও পড়ুন- দিল্লির হার থেকে দলকে শিক্ষা নিয়ে বাংলা ভাগের প্রস্তাব দিলেন বিজেপি সাংসদ