UP, Mathura: নৃশংস! সুটকেস খুলতেই বেরিয়ে এল তরুণীর খণ্ডিত দেহ
নির্যাতিতার কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখছেন। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তারা। এমকী দিল্লি থেকে মথুরায় কীভাবে পৌঁছালেন তরুণী তাও জানতে চেষ্টা করছেন পুলিস আধিকারিকরা। সম্পর্কে টানাপোড়েনের শিকার হয়েছে ওই যুবতী? তা নিয়েও পুলিস এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির আফতাব-শ্রদ্ধার ঘটনার ভয়াবহতা এখনও ভাবাচ্ছে। তার মধ্যেই এবার নৃশংস খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত উত্তরপ্রদেশ। পুলিসের এক আধিকারিকের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের একটি সার্ভিস লেনের কাছে একট ট্রলির ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, লাল রঙের ট্রলিব্যাগের মধ্যে একটি পলিথিন দিয়ে মোড়া ছিল মৃতদেহ। মথুরা পুলিসের একটি দল যুবতীর পরিচয় খুঁজে পেতে দিল্লি, আলিগড়, হাতরাস, নয়ডা, কানপুর এবং আগ্রার একাধিক স্থানে হানা দেয়। শেষপর্যন্ত শনাক্ত করা যায় তরুণীকে। মৃত তরুণী আয়ুষী যাদব দিল্লির বদরপুর এলাকা বাসিন্দা। আধিকারিক জানান, 'মৃতদেহ মর্গে পাঠানোর পরে তরুণী মা দেহ শনাক্ত করে।'
আরও পড়ুন, Cow in ICU: আইসিইউ ওয়ার্ডে অবাধে ঘুরছে গোরু, ভাইরাল জেলা হাসপাতালের ওই ভিডিয়ো
শুক্রবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ট্রলি ব্যাগে এক কিশোরীর মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্লাস্টিকে মোড়ানো ট্রলি ব্যাগে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ট্রলি ব্যাগে একটি লাল রঙের শাড়িও পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিস। দীর্ঘক্ষণ স্যুটকেসটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন কয়েকজন শ্রমিক। এরপরই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিস। তারপর স্যুটকেস খুলতেই পাওয়া যায় তরুণীর মৃতদেহ। হত্যা করার আগে ওই যুবতীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মনে করেছে পুলিস। তারা জানায়, নিহত যুবতীর মুখে চাপ চাপ রক্তের ছাপ ছিল। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিস কর্মকর্তা এম.পি সিং বলেন, তরুণীর পরিবার মূলত উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। তবে সে হেট পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে থাকত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিসের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয় পুলিস। তাঁরা নির্যাতিতার কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখছেন। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তারা। এমকী দিল্লি থেকে মথুরায় কীভাবে পৌঁছালেন তরুণী তাও জানতে চেষ্টা করছেন পুলিস আধিকারিকরা। সম্পর্কে টানাপোড়েনের শিকার হয়েছে ওই যুবতী? তা নিয়েও পুলিস এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি। হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিস।
আরও পড়ুন, ওড়িশা সাইক্লোনের পরে ছিল না হদিশ, শ্রাদ্ধও হয়ে গিয়েছিল! ফিরলেন সেই 'মৃত'...