চিনের দুর্বলতাই এবার হাতিয়ার ভারতের
ওয়েব ডেস্ক: ডোক লা-য় ভারত-চিনের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এর মধ্যেই আরও একটা যুদ্ধক্ষেত্রে বেজিংয়ের সঙ্গে লড়াইয়ে নামছে নয়াদিল্লি। এই যুদ্ধে চিনের দুর্বলতা চিহ্নিত করে ফেলেছে ভারত। আঘাত হানার আগে এখন চলছে নিখুঁত পরিকল্পনা। বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ টানার লড়াইয়ে নামতে চলেছে পড়শি দু'দেশ।
বাণিজ্যে বেজিংকে টেক্কা দিতে কোমর বাঁধতে চাইছে নয়াদিল্লি। গোটা বিশ্বের উৎপাদন শিল্পের গন্তব্য চিন। তা সে ইলেক্ট্রনিক্স হোক বা সৌখিন পণ্য....তবে একটা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে চিনের। সেই জায়গায় আঘাত করে চিনের মুখের গ্রাস কাড়তে চাইছে ভারত।
বাণিজ্যে লক্ষ্মী বসাতে তিন বছরের পরিকল্পনা করেছে নীতি আয়োগ। তাদের প্রস্তাব, চিনের জনসংখ্যার গড় বয়স বাড়ছে। চিনের এই দুর্বলতাই হতে পারে ভারতের শক্তি। কারণ এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি ৩৫ বছরের নীচে। নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, বেশি বেতন দিতে হচ্ছে চিনা বয়ষ্ক শ্রমিকদের। ফলে বিনিয়োগকারীরা সস্তায় শ্রমিক খুঁজছেন। ভারতে অনায়াসেই মিলবে সস্তা শ্রমিক। এজন্য আরও জোর দিতে হবে উৎপাদন ও রফতানি ভিত্তিক কৌশলে। এনিয়ে রিপোর্টে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়েছে।
ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি গতি পেলেও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। তাও নস্যাৎ করেছে নীতি আয়োগ। ন্যাশনাল সার্ভে অফিসের সমীক্ষা উদ্ধৃত করে তাদের দাবি, গত তিন দশকে ৫ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে বেকারত্বের হার।
আরও পড়ুন,