ইরানের শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত ৪০, কম্পন ভারতেও

ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ইরানে। ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর ইরানেই মৃতের সংখ্যা অন্তত্য ৪০। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ভূমিকম্পে মৃত ১০০।  বহু বাড়ি ধূলিসাৎ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।

Updated By: Apr 16, 2013, 04:37 PM IST

ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ইরানে। ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর ইরানেই মৃতের সংখ্যা অন্তত্য ৪০। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ভূমিকম্পে মৃত ১০০।  বহু বাড়ি ধুলিসাৎ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানেও। পাকিস্তানের বালুচিস্তানে মৃত ৫।  
বিকেল তখন ৪টে ২০। ৭.৮ তীব্রতা ভূমিকম্পে কাঁপল ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে। তীব্র কম্পন অনুভূত হয় ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ উত্তর ভারত, সৌরাষ্ট্র, ভূজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার বেশকিছু অংশে। দিল্লিতে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৩। ইরানের তাফতানে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বলে ইউ এস জি এস-এর তরফে জানানো হয়েছে। ইরানে অনুভূত হওয়া কম্পনের তীব্রতা ৮। ভূমিকম্পের জেরে ইরানে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে।
প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর ফের আফটারশক হয় দিল্লিতে। বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে আফটরশক হয়। আফটারশকের তীব্রতা ছিল ৬.৩। জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সারভে অফ ইন্ডিয়া।
ভূমিকম্পের জেরে ধ্বস নেমেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। হড়কাবানের কবলে পড়ে অসমের ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অসমের বারপেতা জেলায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল তিন বন্ধু। হঠাৎ আসা হড়কাবানে ওই শিশু ভেসে যায় বলে স্থানীয় পুলিস জানিয়েছে।
খবর পাওয়া গিয়েছে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ভারতের রাজস্থান, দিল্লি, উত্তর ভারতের পশ্চিম অংশেও। পাকিস্তান, ইরানে ভূমিকম্পের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায়। কম্পন অনুভূত হয় আরব, আমীরশাহীর বিভিন্ন অংশে। প্রায় ২০ সেকেন্ড কম্পনের স্থায়ী হয় বলে জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে।
ভূমিকম্পের খবর ছড়াতেই বহু মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন, বহু অফিস খালি করে দেওয়া হয়। নিমেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে মানুষের মধ্যে। মোবাইল পরিষেবাও প্রভাবিত হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে। বহু শহরে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানে বহু মানুষ তীব্র কম্পন অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বহু শহরে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

.