দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গড়করি
অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি সভাপতি নিতিন গড়করির। অস্বস্তিতে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের পর আয়কর দফতরও এবার গড়করির সংস্থায় হিসাব বহির্ভূত বিনিয়োগের তদন্ত শুরু করল। নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। সরব হয়েছে অরবিন্দ কেজরিয়ালের ইন্ডিয়ান এগেনস্ট কোরাপশন। তবে অস্বস্তি ঢাকতে দলীয় সভাপতিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।
অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি সভাপতি নিতিন গড়করির। অস্বস্তিতে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের পর আয়কর দফতরও এবার গড়করির সংস্থায় হিসাব বহির্ভূত বিনিয়োগের তদন্ত শুরু করল। নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। সরব হয়েছে অরবিন্দ কেজরিয়ালের ইন্ডিয়ান এগেনস্ট কোরাপশন। তবে অস্বস্তি ঢাকতে দলীয় সভাপতিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।
দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা বিজেপি সভাপতি নিতিন গড়করি। পঁচানব্বই থেকে নিরানব্ব্ই পর্যন্ত গড়করি মহারাষ্ট্রের পূর্ত মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সংস্থা পূর্তি পাওয়ার অ্যান্ড সুগার লিমিটেডে বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল আইডিয়াল রোড বিল্ডার্স গ্রুপ নামের একটি সংস্থা। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে হয়েছিল বলেই অভিযোগ। অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে যেকোনও তদন্তের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের পর আয়কর দফতরও এবার গড়করির সংস্থায় হিসাব বহির্ভূত বিনিয়োগের তদন্ত শুরু করল।
পরিস্থিতির চাপে বৃহস্পতিবার দিল্লিসফর বাতিল করেন নিতিন গড়করি। গড়করি নিয়ে এখন রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি নেতারা তাঁর পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেছেন, তদন্তের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নিজের দুর্নীতিমুক্ত ভাবমূর্তিই প্রতিষ্ঠা করেছেন গড়করি। লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, কিছু গোপন করেননি নিতিন গড়করি। কয়লা ব্লক বন্টনে এবং রবার্ট বঢরা কাণ্ডে দুর্নীতি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে কংগ্রেস আঙুল তুলছে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
খুব তাড়াতাড়ি সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্স-এ রিপোর্ট জমা দেবে আয়কর দফতর। নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তত্পর কংগ্রেসও।
কঠিন সময়ে দলকে পাশে পেলেও, নিতিন গড়করির সামনে পথ খুব একটা মসৃণ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সদ্য দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পদে থাকার অনুমোদন পেয়েছেন গড়করি। দলীয় সংবিধান সংশোধন করে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিজেপির মধ্যে সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু হয়েছে। গড়করির এখনই পদত্যাগ করা উচিত, এবং দলীয় স্বার্থে দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পদে আসীন হওয়া উচিত নয় বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ রাম জেঠমালানি।
দুর্নীতির অভিযোগে শেষপর্যন্ত দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পদে আসীন হওয়া গড়করির পক্ষে অত সহজ হবে কিনা সে প্রশ্ন ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে। পাশপাশি জোরদার হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আগে নিতিন গড়করি কাণ্ডে বিজেপির ফের ছন্নছাড়া হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও।