খাদ্য সুরক্ষা বিল: অর্ডিন্যান্স জারি করছে না কেন্দ্রীয় সরকার
খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে আর সময় নষ্ট করতে নারাজ কেন্দ্র। খাদ্য সুরক্ষা বিল পাসের জন্য বিশেষ অধিবেশনও ডাকা হতে পারে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারির পথেও যে তারা হাঁটতে পারে, সেই ইঙ্গিতও এসেছে সরকারের তরফে। বিরোধীদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই সরকারের এই অতিব্যস্ততা।
খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে আপাতত অর্ডিন্যান্স জারি করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অর্ডিড্যান্স নিয়ে ঐক্যমত হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সেকারণেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিলটি পাস করানোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ অধিবেশন নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ করা হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি ছিল, সংসদীয় পদ্ধতিতেই কার্যকর করা হোক খাদ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন। এই আইনের বলে গ্রামাঞ্চলে প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ এবং শহরাঞ্চলে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষকে খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলিকে মাসে তিন টাকা কেজি দরে চাল ও দু টাকা কেজি দরে গম সহ মাসে মোট পঁচিশ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এই হিসেবে খাদ্যশস্য বিতরণে বছরে মোট এক লক্ষ পঁচিশ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের।
কিন্তু, বিলটি নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কেন? বিরোধীদের বক্তব্য, সংসদে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ করে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তুলতে চাইছে ইউপিএ সরকার।
গুদামে নষ্ট হতে চলা খাদ্যশস্য গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে এখনও কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্র। বিজেপির বক্তব্য, বিলটি নিয়ে ন-বছর সময় নষ্ট করে এখন ভোটের আগে জমি পেতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে ইউপিএ সরকার। পাল্টা তোপ এসেছে সরকারের তরফেও। বিরোধীরা হৈ-হট্টগোল না করলে গত অধিবেশনেই খাদ্য সুরক্ষা বিলটি পাশ হয়ে যেত বলে দাবি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর।