ভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রবিবার 'জনতা কার্ফু': স্বাস্থ্যমন্ত্রক
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনতা কার্ফুর ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল জানান, একদিনের সহযোগিতায় ভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কার্যকর হতে পারে। 'গণআন্দোলন'-এ দেশবাসীকে সামিল হওয়ার আবেদনও করেছেন আগরওয়াল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জানান, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ঘোষণা করেন, ''আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করছি। ওইদিন কোনও নাগরিক ঘরের বাইরে বেরোবেন না। রাস্তায় যাবেন না। পাড়াতেও কারও সঙ্গে মিশবেন না। নিজের ঘরেই থাকুন। জরুরি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের তো বাইরে বেরোতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকরা দেশহিতে আত্মসংযমের কর্তব্য পালন করুন।'' এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, একদিন গৃহবন্দি রাখলে ভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হবে।
#WATCH: Contact tracing is our immediate identified protocol. It begins as soon as we get to know of a case..: Joint Secy, Health Ministry, on if contact tracing is being done as singer Kanika Kapoor tested positive for #COVID19 &Vasundhara Raje, who met her,is in self-quarantine pic.twitter.com/ZQOmO4n4pn
— ANI (@ANI) March 20, 2020
শুক্রবার হু-র ভারতের প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম বলেন,''প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছি। সঠিকভাবে কৌশল রূপায়িত হলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে।'' বেকেডামের সংযোজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাত, সর্দি-কাশি হলে সঠিক ব্যবস্থা নিলে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়। এর পাশাপাশি সামাজিকভাবে নিজেকে আলাদা করলেও ভাইরাসের অগ্রগতি রুখে দেওয়া সম্ভব। সামাজিক দূরত্ব তৈরি হলেও এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন- বিদেশ থেকে ফিরে নির্দেশ না মানলে জোর করে গৃহবন্দি, কড়া কলকাতা পুলিস