৪৮ ঘণ্টা গবেষণার পর মর্মান্তিক আত্মহত্যা তরুণীর

কীভাবে আত্মহত্যা করে প্রাণ দেব? এই প্রশ্নটাই নিজের মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে বারবার জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছিলেন ঈশা হান্ডা। বেঙ্গালুরু বাসিন্দা ঈশার এই গবেষণা আত্মহত্যা নিয়ে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া।

Updated By: Sep 3, 2015, 04:32 PM IST
৪৮ ঘণ্টা গবেষণার পর মর্মান্তিক আত্মহত্যা তরুণীর

ওয়েব ডেস্ক: কীভাবে আত্মহত্যা করে প্রাণ দেব? এই প্রশ্নটাই নিজের মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে বারবার জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছিলেন ঈশা হান্ডা। বেঙ্গালুরু বাসিন্দা ঈশার এই গবেষণা আত্মহত্যা নিয়ে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া।

গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় সোভা ক্লাসিক এ্যাপার্টমেন্টের ১৩ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই তরুণী।

ঈশার আত্মহত্যা রহস্যের তদন্তে নেমে তাজ্জব বনে গিয়েছে পুলিস। ইশার স্মার্টফোন, ল্যাপটপ পরীক্ষার পর দেখা যায় মৃত্যুর দু দিন আগে থেকে তিনি শুধু কীভাবে মরা যায় সেই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন। ইশা ৮৯টি ওয়েবসাইটে ঘাঁটেন শুধু এটা জানার জন্য যে আত্মহত্যা করার সবচেয়ে সেরা ও কার্যকরী উপায় কী আছে। প্রথমে সে গুগলে কার্যত গবেষণা করে কত উপর থেকে ঝাঁপ দিলে মৃত্যুটা নিশ্চিত হবে। তারপর সে একে একে ট্রেনের সামনে বিষ খেয়ে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে, দড়িতে ঝুলে পড়ে, জলে ডুবে, ইলেকট্রিকের শক খেয়ে, দম আটকে আত্মহত্যা করার খারাপ-ভাল-কার্যকারিতা সব কিছু নিয়ে পড়াশোনা করে।  সেই সঙ্গে ভেবে দেখেছেন নিজের শরীরের ওজনের কথাও। অর্থাৎ তার যে ওজন তাতে কোন পন্থা অবলম্বন করলে মৃত্যু নিশ্চিত হবে।

তারপর সব পড়াশোনা শেষে সকালে উঠে একটা ট্যাক্সি ধরে সে আসে এক বহুতলের সামনে। তার আগে ফ্ল্যাটের দুই বন্ধুকে বলে আসে, 'চিন্তা করিস না আমার ফিরতে অনেক দেরি হবে।'না, দেরি নয় আর কখনও ফেরেননি পেশায় ফ্যাশান ডিজাইনার ঈশা।

ট্যাক্সি নিয়ে চলে যান সার্জাপুর ও হারালুর রোডে বহুতল খোঁজার জন্য। পাশাপাশি দুটি বিল্ডিং দেখেন। অবশেষে সোভা ক্লাসিক এ্যাপার্টমেন্ট এলাকায় এক বহুতল তার পছন্দ হয়।  একটি পুরনো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া। পাশে আরেকটি বিল্ডিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলক কম। সিদ্ধান্ত নেন দ্বিতীয় বহুতল থেকেই দু’দিনের আত্মহত্যার গবেষণার বাস্তবায়ন ঘটাবেন।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আশপাশে ঘোরাফেরা আর সুযোগ খোঁজা কীভাবে বিল্ডিংয়ে ঢুকবেন। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়ে যান ঈশা। বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে অন্ধকার নামার অপেক্ষাও করেন।

তার কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২৫০ গ্রাম মারিজুয়ানা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস মনে করছে, আত্মহত্যার আগেই সে নেশা করে। কারণ কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এভাবে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ব্যাগের মধ্যে পাওয়া গেছে একটি দড়ি।

আত্মহত্যার কারণ প্রেমঘটিত বলেই সন্দেহ পুলিসের। তবে ঈশার মৃত্যুতে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই ঘটেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিস।  

 

Tags:
.