Hijab Row: কলেজে আর হিজাব পরে আসা যাবে না শুনে পদত্যাগ শিক্ষিকার

পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষিকা বললেন, এটা তাঁর কাছে আত্মসম্মানের প্রশ্ন!

Updated By: Feb 19, 2022, 01:51 PM IST
Hijab Row: কলেজে আর হিজাব পরে আসা যাবে না শুনে পদত্যাগ শিক্ষিকার

নিজস্ব প্রতিবেদন: হিজাব-বিতর্কের সূত্রপাত কর্ণাটকে। তবে এ বিতর্ক ক্রমে পদুচেরি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তেজনাও। আর এরই মধ্যে পদত্যাগ করলেন কর্ণাটকের একটি কলেজের ইংরেজির এক শিক্ষিকা। কেন তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে 'অগণতান্ত্রিক' বলে আখ্যা দেন তিনি।

কর্ণাটকের জৈন পিইউ কলেজের ইংরেজির লেকচারার চাঁদনি নাজ। তিন বছর ধরে তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাচ্ছেন। হিজাব পরার উপর বিধিনিষেধের বিরোধিতায় পদত্যাগ করলেন তিনি। হিজাব-বিতর্কের মধ্যে এক শিক্ষিকার পদত্যাগ আরও বিতর্কের সৃষ্টি করল।

কর্ণাটক হাইকোর্টের শুনানিতে কর্ণাটক সরকারের পক্ষে রাজ্যটির অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বলেন, ইসলাম ধর্মে হিজাব পরা অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় প্রথা বা আচার নয়, তাই হিজাব পরতে নিষেধ করলে তাতে (মুসলিম) নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হবে না। কর্নাটক হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, আপাতত কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় কোনো পোশাক পরে যাওয়া যাবে না। এই নির্দেশের পরই জৈন পিইউ কলেজের অধ্যক্ষ নাকি সব শিক্ষককে ডেকে পাঠান। অধ্যক্ষ নাকি সব শিক্ষককে বলেন যে এর পর থেকে আর এমন কোনো পোশাক পরে কলেজে আসা যাবে না, যার সঙ্গে ধর্মের যোগ আছে। আর এই নির্দেশের পরই চাঁদনি নামক সেই শিক্ষিকা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। 

এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন ওই শিক্ষিকা। সেখানে তিনি বলেন, 'হিজাব ছাড়া কলেজে যাওয়া আমার আত্মসম্মানের বিরুদ্ধে। তিন বছর ধরে আমি এই কলেজে পড়াচ্ছি। এই তিন বছরে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। আমি স্বচ্ছন্দে কাজ করেছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের অধ্যক্ষ ডেকে বলেন, আমাদের হিজাব পরা উচিত নয়। কোনো ধর্মীয় প্রতীকের প্রতিনিধিত্ব করা উচিত নয় এবং তাঁদের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশও এসেছে। এর পরই তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে 'অগণতান্ত্রিক' বলে মন্তব্য করেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে কর্ণাটকের উদুপি জেলায় হিজাব-বিতর্ক শুরু। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ। এরপর কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন পৌঁছয়। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। তবে আদালতের আদেশে স্কুল খুললেও বিতর্ক থামেনি।

আরও পড়ুন: Fire At Train: বিহারের মধুবনি ষ্টেশনে ট্রেনে আগুন, এড়াল বড়সড় দুর্ঘটনা

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)   

.