যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মৈত্রীর বার্তা হিলারির

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা ও মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিনটন। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কথা হয়েছে হিলারি ও কৃষ্ণা। বিদেশমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

Updated By: May 8, 2012, 12:23 PM IST

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা ও মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিনটন। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কথা হয়েছে হিলারি ও কৃষ্ণার মধ্যে। বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এছাড়াও পরমাণু চুক্তি নিয়েও তাদের কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। অবশ্য যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণের সুপারিশ করে সাউথ ব্লককে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছেন হিলারি। মার্কিন বিদেশসচিব বলেন, ''ইরানকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে আলোচনার টেবিলে অংশ নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করার এটাই হল একমাত্র পথ। ওবামা প্রশাসন ইতিমধ্যেই তেহেরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু ইরানের উপর চাপ বাড়াতে, ভারতের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী।''
তবে কৃষ্ণা-হিলারি বৈঠকে সবকিছু ছাপিয়ে সামনে চলে আসে সীমান্তপারের সন্ত্রাস প্রসঙ্গ। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার পাকিস্তানের উদ্দেশে তোপ দাগলেন মার্কিন বিদেশসচিব। পাক ভুখণ্ড যাতে সন্ত্রাসবাদের মুক্তাঞ্চল না হয়ে ওঠে তার জন্য ইসলামাবাদকে আরও সক্রিয় হতে বলেন তিনি। পাশাপাশি ফের একবার হাফিজ সইদকে মুম্বই কাণ্ডের মূল চক্রী হিসেবে চিহ্নিত করেন হিলারি ক্লিনটন। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন এস এম কৃষ্ণাও।
কলকাতায় আলোচনা চক্রে হাফিজ মহম্মদ সইদ ও আয়মান আল জাওয়াহিরি ইঙ্গিত মিলেছিল, সন্ত্রাসদমন ইস্যুতে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়াতে চলেছে আমেরিকা। দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী ও মার্কিন বিদেশসচিবের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই অবস্থান আরও স্পষ্ট হল। রীতিমতো কড়া সুরে হিলারি ক্লিনটন ইসলামাবাদের উদ্দেশে বলেন, জঙ্গি হামলার জন্য পাক ভুখণ্ডকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা রুখতে আরও সক্রিয় হতে হবে পাকিস্তানকে।
লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদই যে ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী তাও পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব। তাঁর বক্তব্য, সইদের শাস্তির ব্যাপারে ওয়াশিংটন আন্তরিক। তাই সইদের মাথার দামও ধার্ষ করেছে মার্কিন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণাও সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানকে আরও উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেছেন। অবিলম্বে মুম্বই সন্ত্রাসের নেপথ্য-মস্তিষ্কদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার উপরও জোর দেন তিনি।
পাক ভুখণ্ডের জঙ্গি ঘাঁটিই হোক বা হাফিজ সইদ প্রসঙ্গ। বরাবরই এই ব্যাপারে দায় এড়িয়ে যেতে চেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে হিলারি ক্লিনটন ও এস এম কৃষ্ণার বক্তব্য থেকেই পরিস্কার সন্ত্রাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বড় চাপের মুখে ইসলামাবাদ।

.