৫৪ বছর পর ঐতিহাসিক জয় কেরলে, ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা পেল বামেরা
পালা কেন্দ্রে ইউডিএফ-এর প্রার্থী জোস কে মানির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে বাম জোট প্রার্থী মানি সি কপ্পনের। চূড়ান্ত ফল পাওয়া অনুযায়ী কপ্পনের প্রাপ্ত ভোট ৫৪১৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেল বাম জোট এলডিএফ। প্রায় পাঁচ দশক পর পালাবদল হল ওই বিধানসভা কেন্দ্রে। ক্ষমতায় এল লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। এই জয় বামফ্রন্টকে উজ্জীবিত করবে বলে সিপিএম তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে।
পালা কেন্দ্রে ইউডিএফ-এর প্রার্থী জোস কে মানির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে বাম জোট প্রার্থী মানি সি কপ্পনের। চূড়ান্ত ফল পাওয়া অনুযায়ী কপ্পনের প্রাপ্ত ভোট ৫৪১৩৭। ইউডিএফ পেয়েছে ৫১১৯৭টি ভোট। ১৮০৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি ভোট বেশি পেলেও এবারে অনেকটাই জায়গা হারিয়েছে। কেরল কংগ্রেস (এম)-র তরফে জানানো হয়েছে, জনগণ রায় তারা মাথা পেতে নিচ্ছে। পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জীতে নাম না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
উল্লেখ্য, পালা বিধানসভা কেন্দ্র ছিল কেরল কংগ্রেস জোটের অন্যতম ঘাঁটি। এই কেন্দ্র থেকে ১৯৬৭ সাল থেকে জিতে আসছেন কেরল কংগ্রেস (এম)-র প্রয়াত চেয়ারম্যান কে এম মানি। এক কেন্দ্র থেকে দেশের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বিধায়ক থেকেছেন এক এম মানি। আমৃত্যু পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন। চলতি বছরে ৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় তাঁর। সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করে বলেন, ৫৪ বছর পর এই প্রথম পালার মানুষ বামফ্রন্টের উপর ভরসা করেছেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।