অসমে বার বার হুল ফুটিয়েছে NDFB জঙ্গিরা
অতীত বলছে মঙ্গলবারই নয়, এর আগেও একের পর এক এনডিএফবি জঙ্গি হানায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে অসম। মঙ্গলবারের জঙ্গি হানা ছাপিয়ে গিয়েছে সব কিছুকে। কী বলছে এনডিএফবি জঙ্গিদের অতীত হানার তালিকা?
গুয়াহাটি: অতীত বলছে মঙ্গলবারই নয়, এর আগেও একের পর এক এনডিএফবি জঙ্গি হানায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে অসম। মঙ্গলবারের জঙ্গি হানা ছাপিয়ে গিয়েছে সব কিছুকে। কী বলছে এনডিএফবি জঙ্গিদের অতীত হানার তালিকা?
এনডিএফবি জঙ্গি দমনে গত দুদিন ধরেই অসম-ভূটান সীমান্ত এলাকায় অপারেশন চালাচ্ছিল অসম প্যারামিলিটারি ফোর্স। এতে বেশকয়েকজন জঙ্গির মৃত্যুও হয়। মঙ্গলবারের জঙ্গি হানা সম্ভবত তারই প্রতিশোধ বলে ধারনা সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে এই প্রথম নয়, অসমের বিভিন্ন জায়গায় বারবারই সক্রিয় হয়েছে এনডিএফবি জঙ্গিরা। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক জঙ্গি হানার খতিয়ান।
১ লা মে ১৯৯৮
অসমের আনজোরা এলাকায় এনডিএফবি জঙ্গি হানায় প্রাণ হারান পাঁচ জন।
২ রা মে ১৯৯৮
কোকরাঝাড় জেলার দেওশ্রীতে একটি বাস থেকে চারজনকে টেনে নামিয়ে একজনকে হত্যা করে তিনজনের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায় এনডিএফবি জঙ্গিরা।
৩ রা মে ১৯৯৮
কোকরাঝাড়ে বাস থেকে নামিয়ে চোদ্দ জনকে হত্যা করে এনডিএফবি জঙ্গিরা। ঘটনায় আহত হন চারজন।
৯ মে ১৯৯৮
বরবিলে এনডিএফবি জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান দশজন মহিলা ও দুই শিশু সহ মোট ১৬ জন। আহত হন ১২ জন।
২১ অগাস্ট ২০০০
এনডিএফবি জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান পিপল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক মোহিনী বসুমাতারি।
২৫ নভেম্বর ২০০০
বডো এলাকায় প্রবেশের অপরাধে আটজন কাঠুরেকে হত্যা করে এনডিএফবি জঙ্গিরা।
৩০ জুন ২০০৯
সোনতিপুর জেলার নাহারানি গ্র্যান্ট গ্রামে এক শিশু সহ একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করে এনডিএফবি জঙ্গিরা।
মে, ২০১৪
কোকরাঝাড় ও বাক্সা জেলায় একের পর এক এনডিএফবি জঙ্গি হানায় প্রাণ হারান ৩২ জন ।
অগাস্ট, ২০১৪
চিরাঙ্গ জেলায় এক ষোলো বছরের কিশোরীকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে গুলি করে হত্যা করে এনডিএফবি জঙ্গিরা।
ডিসেম্বর, ২০১৪
সোনতিপুর এবং কোকরাঝাড় জেলায় এনডিএফবি জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান ৩৪ জন ।