Mission Shakti: ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উপগ্রহ ধ্বংস করার ভিডিয়ো প্রকাশ করল DRDO
ভিডিয়োতে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালে DRDO-র বিজ্ঞানীদের আরও বড় ও জটিল প্রযুক্তি তৈরিতে উত্সাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। বিজ্ঞানীদের একাধিক দল মিলে তৈরি করেন ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: মিশন শক্তির সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরে রবিবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করল DRDO. ভিডিয়োতে পরিকল্পনা থেকে ধাপে ধাপে কী করে অভিযান সাফল্যের পথে এগিয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রথম মহাকাশে কক্ষে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করার ছবি প্রকাশ করল DRDO.
গত ২৭ মার্চ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করে ভারত। ওড়িশার আব্দুল কালাম আজাদ দ্বীপ থেকে ছোড়া উপগ্রহঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে নির্দিষ্ট লক্ষে। এর আগে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের হাতে এই প্রযুক্তি রয়েছে।
এই প্রথম গ্রহাণুতে বোম মারল মানুষ
ভিডিয়োতে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালে DRDO-র বিজ্ঞানীদের আরও বড় ও জটিল প্রযুক্তি তৈরিতে উত্সাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। বিজ্ঞানীদের একাধিক দল মিলে তৈরি করেন ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি। মহাকাশে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্রের গতিমুখ পরিবর্তনের জন্য জটিল প্রযুক্তিও আয়ত্ত করেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য গত জানুয়ারিতে মহাকাশে পাঠানো হয় একটি উপগ্রহ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয় রেডার। ২৭ মার্চ চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় মহাকাশে উপগ্রহটির অবস্থান চিহ্নিত করে নিজেই উত্ক্ষেপিত হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। বেলা ১১.০৯ মিনিটে উড়ে যায় সেটি। পৃথিবী থেকে ২৮৩ কিলোমিটার উঁচুতে উপগ্রহের কক্ষে পৌঁছে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্র। বিস্ফোরণের অভিঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায় কৃত্রিম উপগ্রহটি। পৃথিবী ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে উপগ্রহ ধ্বংস করার ছবিও প্রকাশ করেছে DRDO.